খড়গপুর, 14 জুন: খড়গপুর আইআইটি'র নতুন ডেপুটি ডিরেক্টর হতে চলেছেন অধ্যাপিকা রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়। এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ। ভারতের প্রাচীনতম প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠান খড়গপুর আইআইটি ৷ তার সুদীর্ঘ 73 বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ডেপুটি ডিরেক্টর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন মহিলার অভিষেক হতে চলেছে । ফলে খুশির হাওয়া আইআইটি খড়গপুরের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের মধ্যে ৷
এই বিষয়ে অধ্যাপিকা রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি গর্বিত ও সম্মানিত এই পদ পেয়ে । আমার লক্ষ্যই হবে একজন ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে স্বল্প ব্যয়ে শক্তিশালী ও উন্নত প্রযুক্তির আবিষ্কারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে আইআইটি খড়গপুরের অসামান্য অবদান তুলে ধরা। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের প্রাচীনতম এই আইআইটি'র গুরুত্ব ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করতেও আমি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব ।"
মূলত আইআইটির অধ্যাপক অমিত পাত্র'র স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অধ্যাপক রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় । কারণ সম্প্রতি, অধ্যাপক অমিত পাত্র আইআইটি বারাণসীর ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ৷ ফলে ডেপুটি ডিরেক্টরের পদ ফাঁকা রয়ে গিয়েছে । কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অধ্যাপিকা রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় খড়গপুর আইআইটির পিকে সিনহা সেন্টার ফর বায়োএনার্জি অ্যান্ড রিনিউয়েবলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এবং বর্তমানে চেয়ারপার্সন । তিনি গত তিন বছর ধরে আইআইটি খড়গপুরের কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।
শুধু তাই নয়, আইআইটি খড়গপুরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিন হিসেবে এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, উদ্ভাবনী ও টেকসই প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন । তাঁর উদ্ভাবনী ভাবনা ও আবিষ্কার কেবল ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত বলে আইআইটি সূত্রে খবর । তাছাড়া জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের আর্থিক ও বৈজ্ঞানিক জগতে অসামান্য অবদানের জন্য আইসিএআর-র অসামান্য মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি 'পঞ্জাবরাও দেশমুখ পুরস্কার'- এ ভূষিত হয়েছেন ।
পাশাপাশি, ভারতের বায়োটেক রিসার্চ সোসাইটি দ্বারা 'সেরা মহিলা জীববিজ্ঞানী' অ্যাসোসিয়েশন ফর ফুড সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট থেকে 'ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’, লুই পাস্তুর পুরস্কার, মদন মোহন মালব্য পুরস্কার এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি । পাশাপাশি একজন জীববিজ্ঞানী হিসেবে সারা পৃথিবীজুড়ে নিজের অসামান্য প্রতিভা ও উদ্ভাবনী সত্ত্বার স্বাক্ষর রেখেছেন এই রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় ৷