দুর্গাপুর, 11 অগস্ট: আরজি করের ঘটনার পরেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এগিয়ে এল বেসরকারি হাসপাতাল ৷ পরিছন্নতার উপর জোর দিতে এগিয়ে এল স্থানীয় দু'টি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ৷ বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধারদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত।
রবিবার বৈঠকে হাজির ছিলেন মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল ও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল। রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, "দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করবে কাঁকসার মলানদিঘীর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। আর হাসপাতালের ভিতরের পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দেবে দুর্গাপুরের দু'টি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। আগের তুলনায় রোগীদেরও বাড়ছে আস্থা। লক্ষ্য একটাই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মান উন্নয়ন করা।"
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, "কোনও ঘটনা ঘটলেই আমরা নিরাপত্তা নিয়ে ভাবি। তাছাড়া আমাদের রোগীরাই আমাদের নিরাপত্তা। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চতুর্দিক এবং অভ্যন্তরীণেও রয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল হাসপাতাল পরিষ্কারের কিছু লোক দেওয়ার জন্য। এগিয়ে এসেছে ওই বেসরকারি হাসপাতালগুলি।"
মহকুমা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, "সরকারি হাসপাতালের ভোল বদলের জন্য আমরা নানা প্রচেষ্টা করি। সেই রকমই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিতে দু'টি সুপার স্পেশালিটি এবং একটি মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের সাড়া দিয়েছেন ওনারা। আমরা আশাবাদী দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা আরও উন্নত হবে।"