রায়গঞ্জ, 11 জুলাই: অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটুজল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। যে কারণে বর্ষার মরশুমে চরম সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। রায়গঞ্জ ব্লকের 13 নম্বর কমলাবাড়ি 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বীজগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এমনই ছবি দেখা গেল। গত ক'দিন ধরে এই এলাকায় বৃষ্টি হয়ে চলেছে ৷ এর জেরে বিদ্যালয়ের সামনে অনেকটা অংশজুড়ে জমে রয়েছে জল ৷ এই জল যন্ত্রণায় ভুগছেন পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বছরের পর বছর একই সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এই সমস্যা সমাধানের কোনও উদ্যোগ নেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। এদিকে পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে জলে পড়ে যাচ্ছে। তাদের ইউনিফর্ম নষ্ট হচ্ছে। পড়ে গিয়ে আহত হওয়ারও ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। এই জলাবৃত অংশের মাঝে রয়েছে একটি বড় গর্ত। ফলে জলের মধ্যে গর্ত বোঝা দায়। যার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। কত দিনে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা।
- অভিভাবক আরতী দেবশর্মা বলেন, "বিদ্যালয়ের সামনে জল জমে থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চারা খেলাধুলো করতে পারছে না। যে কোনও মুহূর্তে ওরা পড়ে গিয়ে চোট লাগতে পারে ৷ একটু বৃষ্টিতেই এই জায়গা জলে পরিপূর্ণ হয় যায়।"
- অভিভাবক গণেশ বর্মন বলেন, "জলের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকছে। পড়ে গিয়ে পোশাক নষ্ট হচ্ছে বাচ্চাদের। অবিলম্বে এই জায়গায় মাটি দিয়ে বুজিয়ে দিতে হবে। বিদ্যালয়ের চারপাশের সীমানা প্রাচীর দিতে হবে। তবেই বাচ্চারা নিরাপদ থাকবে।"
- বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া অনীত বর্মন জানিয়েছে, বিদ্যালয় আসার সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। জামা-কাপড় সব ভিজে যায়। খেলতে পারি না। এই জায়গাটি একটু উঁচু করে দিলেই হবে ৷
- বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রিনা মণ্ডল জানান, এখানে জল নিকাশি ব্যবস্থা একেবারেই নেই। অল্প বৃষ্টিতেই জলে থৈ থৈ অবস্থা। বিদ্যালয়ে এসে বাচ্চারা পড়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে। বিধায়কের কাছেও সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এখন কত দিনে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় সেটাই দেখার।