হাওড়া, 20 জুলাই: রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে শহিদ দিবসের প্রস্তুতি ৷ রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের 21 জুলাইয়ের ধর্মতলায় সভায় যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন আসতে শুরু করেছেন হাওড়া স্টেশনে ৷ খোলা হয়েছে বিশেষ সহায়তা ক্য়াম্প ৷ সেখানে আছেন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা।
প্রতি বছরের মতো এই বছরও উত্তর হাওড়ার বেশ কয়েকটি স্থানে দলের তরফ থেকে তৃণমূলকর্মীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেই ব্যবস্থাপনা কীরকম, তা শনিবার সকালে ঘুরে দেখেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় ৷ প্রায় 35 হাজার কর্মীর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে উত্তর হাওড়াতে । শনিবার সকাল থেকেই হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হাওড়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ৷
দলের কর্মী ও সমর্থকদের থাকার তত্ত্বাবধান করছেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম চৌধুরী ৷ শুক্রবার প্রায় 30-35 হাজার মানুষের রান্নাবান্নার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো প্রত্যন্ত জেলার কর্মীরা এসে উপস্থিত হয়েছেন ৷
রবিবার 21 জুলাইও সারাদিন ধরেই কর্মীরা আসতে থাকবেন ৷ বাইরের জেলা থেকে আসা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উত্তর হাওড়ার শ্রীরাম বাটিকা এবং শ্যাম গার্ডেন-এ থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে । মেনুতে রয়েছে ভাত, ডাল, আলু পটলের তরকারি, সয়াবিন এবং ডিমের ডালনা ৷ প্রায় আড়াইশো জন রান্নার কাজে হাত লাগিয়েছেন ।
সূত্রের খবর, আজ সন্ধ্যায় বিপুল সংখ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা উত্তর হাওড়ার এই শ্রীরাম বাটিকা এবং শ্যাম গার্ডেন আসবেন আগামিকালের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য ৷ এছাড়াও রাতে থাকার জন্য একাধিক ক্লাব, স্কুল, কলেজে বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি হাওড়া স্টেশন চত্বরে খোলা হয়েছে একাধিক সহায়তা ক্যাম্প ৷ সেখানে করা হয়েছে থাকার ব্যবস্থাও ৷ এদিন লঞ্চে করে এবং হাওড়া ব্রিজ ধরেও পায়ে হেঁটে অনেক কর্মী-সমর্থকেরা ধর্মতলার সভার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ৷