দুর্গাপুর, 10 ফেব্রুয়ারি: মাঠের পাশে পড়ে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার ব্যাংকের প্রচুর পাসবই আর এটিএম কার্ড ৷ দুর্নীতির আবহে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার সগড়ভাঙা এলাকায় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোকওভেন থানার পুলিশ । পুলিশ বস্তায় ভরে পাস বই আর এটিএম কার্ডগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে । ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে কোকওভেন থানার পুলিশ আধিকারিকরা ।
জানা গিয়েছে, কে ব্লক হাউজিংয়ের মাঠের পাশে শনিবার পড়ে থাকলে দেখা গেল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের বহু পাসবই সঙ্গে এটিএম কার্ড ৷ এত সংখ্যক পাসবই আর এটিএম কার্ড দেখে চোখ কপালে ওঠে স্থানীয়দের । ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকাবাসীদের ভিড়ও জমে যায় ওই এলাকায় । কোথা থেকে এল প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার এত পাস বই, উঠছে প্রশ্ন ৷
স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ ঘটক জানান, তিনি বাজারে যাচ্ছিলেন । তখনই মাঠের পাশে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার পাসবই আর এটিএম কার্ডগুলি পড়ে থাকতে দেখেন । এলাকার মানুষদেরও বিষয়টি জানান । বাকিরা এসে দেখেন এই পাসবইগুলি বিধাননগর, সাগড়ভাঙা কলোনি আর গোপীনাথপুর এলাকার । বইগুলি আপডেটও করা আছে । আবার এটিএম কার্ডগুলির মেয়াদ 2024 সাল পর্যন্ত রয়েছে ।
বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, "সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট খুলেছিল । কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টের পাস বইগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছয়নি । বাংলায় সমস্ত দফতরেই দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে ৷" সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে দুর্নীতির টাকা বদলের চক্রান্ত হয়েছিল বলেও তিনি তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন ।
পালটা বিজেপিকে কটাক্ষ করে দুর্গাপুরের তিন নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি আশিস কেশ বলেন, "মাঠের পাশে পাসবই আর এটিএম কার্ড পড়ে আছে এলাকার মানুষের খবর পাওয়ার আগেই বিজেপির নেতারা খবর পেয়ে যাচ্ছে । এই পাসবই আর এটিএম কার্ড পড়ে থাকার পিছনে বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে । সামনে লোকসভা নির্বাচন ৷ সেই জন্যই মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি ৷"
যদিও ব্যাংক সূত্রে খবর, এই পাসবই আর এটিএম কার্ডগুলি বাতিল এবং অনেক গ্রাহককে তাদের ঠিকানায় খুঁজেই পাওয়া যায়নি। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কথায়, "প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট তড়িঘড়ি খুলে চমক দিতে গিয়েছিল বিজেপির স্থানীয় নেতা-নেত্রীরা । এরা পরিবারের বিভিন্নজনের নামে এই অ্যাকাউন্টগুলি খুলেছিল। এরা নিজেদের দলকেও কলঙ্কিত করেছে ।"
আরও পড়ুন: