কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর: বামেদের ডাকে রাজাবাজার থেকে আরজি কর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ৷ আর সেই মিছিল শ্যামবাজারে পৌঁছাতেই ধুন্ধুমার ৷ পুলিশ ও বাম নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় ৷ একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে শ্যামবাজার মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা ৷ যে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মহম্মদ সেলিম এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা ৷ এরপরেই বামেরা ঘোষণা করে, অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্যামবাজারে অবস্থানে বসছে তারা ৷
অন্যদিকে, এ দিন বামেদের মিছিল আটকাতে রাস্তায় বাস নামিয়ে দেয় কলকাতা পুলিশ ৷ একটি লেন সরকারি বাস নামিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ খান্না মোড়ে এভাবেই বামেদের মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ ৷ তবে, সেই বাধা পেরিয়ে শ্যামবাজার মোড় পর্যন্ত এগিয়ে যায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বামেদের মিছিল ৷
গত 27 অগস্ট পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযান রুখতে মালবাহী কন্টেনার রাস্তায় নামিয়েছিল কলকাতা পুলিশ ৷ এবার আরও একধাপ এগিয়ে খান্না মোড়ের একটি লেন সরকারি বাস দিয়ে আটকে দেওয়া হল ৷ বামেদের আরজি করের প্রতিবাদ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ ৷ বাস দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার পাশাপাশি, আরেকটি লেনে রেলিং ও বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে দেয় পুলিশ ৷ তবে, সেই ব্যারিকেড উপড়ে মিছিল এগিয়ে যায় শ্যামবাজারের দিকে ৷
তবে, শ্যামবাজার মোড়ের কাছে এজেসি বোস রোডে ফের পুলিশ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের মিছিল আটকে দেয় ৷ সেখানে মিছিলে যোগ দেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ সেখানেও একটি স্কুল বাস দিয়ে রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ ৷ কিন্তু, এবার আর পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে পারেননি বাম কর্মী-সমর্থকরা ৷ আরজি কর হাসপাতালে যেতে না-পেরে শ্যামবাজার মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন তাঁরা ৷ এই অবস্থান বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় ৷ একাধিক রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে ৷
এদিন বামেদের এই মিছিল চলাকালীন এক অন্য ছবি দেখা গেল খান্না মোড়ে ৷ পুলিশ যখন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের আটকাতে ব্যস্ত তখন রাস্তার পাশে একটি বাড়ি থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠল ৷ আরজি করের প্রতিবাদে বামেদের মিছিলকে সমর্থন জানিয়ে, গৃহস্থ বাড়ির মহিলারা স্লোগান তুললেন ৷
অন্যদিকে, শ্যামবাজার মোড়ে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "আমাদের তথা পুরো বাংলার দাবি আরজি করের অপরাধের মাথাদের ধরতে হবে ৷ ওটা ক্রিমিনাল চার্জ ৷ এই দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে কী হবে ? এতো কয়েকদিন পরে ছাড়া পেয়ে যাবে ৷ ঠিক যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরে ঘুরছেন ৷ আর কেবলমাত্র অনুব্রত মণ্ডল জেলে রয়েছেন ৷ আমরা চাই মাথারা ধরা পড়ুক ৷"