মালদা, 10 অক্টোবর: পুজোর শহরে নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দিয়েছে মালদা জেলা পুলিশ প্রশাসন ৷ একইভাবে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে চাঁচলেও ৷ মহাসপ্তমী থেকেই সেই ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটে থেকে মালদা শহরে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যান চলাচলও ৷ রাত দুটো পর্যন্ত কোনও যান শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেই জানা গিয়েছে ৷ তার জন্য গোটা শহর জুড়ে ড্রপ গেটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “এবছর মালদা জেলায় মোট 1707টি দুর্গাপুজো হচ্ছে ৷ এর মধ্যে ইংরেজবাজার ব্লকে হচ্ছে 332টি পুজো আর মালদা শহরে 122টি ৷ অন্যান্য বছরের মতো এবারও মালদা শহর ও চাঁচলে স্পেশাল ট্রাফিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ এর জন্য 4204 জন পুরুষ সিভিক ভলান্টিয়ার, 557 জন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার, 500 জন পুরুষ কনস্টেবল, 108 জন মহিলা কনস্টেবল, 246 জন অফিসার ও 15 জন ইন্সপেক্টর ব়্যাঙ্কের অফিসার পুজোর দিনগুলিতে ডিউটি করবেন ৷ বিভিন্ন জায়গায় টহল দেবে সাদা পোশাকের পুলিশ ৷ শহর এলাকায় মহিলাদের নিরাপত্তায় মোটরবাইক নিয়ে তৈরি থাকবে উইনার্স টিম ৷ শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকায় থাকবে পিংক পেট্রলিং ৷”
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “এবার মালদা শহরে মোট 78টি ড্রপগেট করা হয়েছে ৷ গত বছরের থেকে 11টি বাড়ানো হয়েছে ৷ তবে প্রয়োজন না পড়লে কিছু গেট বন্ধ করা হবে না ৷ রাস্তায় ভিড় দেখে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷" পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা তিনটেয় ড্রপগেট বন্ধ হবে ৷ খোলা হবে রাত দু'টোয় ৷ যদিও প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে গেট বন্ধ থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে ৷ পুলিশ সহায়তা বুথের সংখ্যাও এবার বাড়িয়ে 17টি করা হয়েছে ৷
প্রতিটি বুথে শিশুদের জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র পাওয়া যাবে ৷ মালদা শহরে মূলত সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বেশি ভিড় হয় ৷ গ্রামের প্রচুর মানুষও শহরে প্রতিমা দেখতে আসেন ৷ তবে এবার জেলার একাংশে বন্যা পরিস্থিতি রয়েছে ৷ নদী ভাঙনেও সমস্যা অসংখ্য মানুষ ৷ তাই এবার পুজোয় শহরের রাস্তায় ভিড় কিছুটা হলেও কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷