কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: ব্যবসায়িক শত্রুতার জের ৷ মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ফিল্মি কায়দায় রাতের অন্ধকারে হরিদেবপুরের একটি পানশালার সামনে থেকে যুবককে অপহরণ দুষ্কৃতীদের । পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা হয় এই কাজে ৷ তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে অভিযুক্তরা ৷ ওই এলাকা থেকেই পুলিশ গ্রেফতার করে অপহরণকারীদের ৷ আর সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় অপহৃত 22 বছরের যুবক নীতীন শাহ ৷ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িটিকেও ।
লালবাজার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে এই অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের কবরডাঙা ক্রসিংয়ে একটি পানশালার সামনে । গোটা ঘটনাটি সেখানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পরেছে । তাতে দেখা গিয়েছে, ওই যুবকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গাড়িতে তোলা হচ্ছে ৷ সেসময় তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন তাঁর বন্ধুরা । কিন্তু সম্ভবত বন্দুকের ভয় দেখিয়েই তাঁদের সেখান থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয় । পুলিশ সূত্রে খবর, নীতীনের কাছ থেকে 20 লক্ষ টাকাও চেয়েছিল দুষ্কৃতীরা । আর তা না দেওয়াতেই এই অপহরণ ।
পুলিশ জানিয়েছে, নীতীনের বন্ধুরাই প্রথমে 100 নম্বরে ফোন করে অপহরণের বিষয়টি জানান । পরে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সেই ফোন যায় ওসি হরিদেবপুরের কাছে । পুলিশ এই ঘটনার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে হরিদেবপুরের থানা এলাকায় তিনটি আলাদা আলাদা দল তৈরি করে । তদন্তে নেমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গোটা অপারেশন শেষ করে পুলিশ । তল্লাশি চালিয়ে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্তদের ৷ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ধৃতরা হলেন বিপ্লব পাত্র ওরফে ভিক্টর (33), অশোক মাজি (46) এবং অরুনাংশু দাস (42)। এঁদের মধ্যে দু'জন এমজি রোডের বাসিন্দা । বিপ্লব থাকেন ঘরুইপাড়ায় । এই ঘটনায় সঙ্গে আরও দু'জন জড়িত রয়েছেন ৷ তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, "অভিযুক্তদের কোনও ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ আজ অভিযুক্তদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে ।"
আরও পড়ুন: