ETV Bharat / state

হাওড়ায় বন্ধ ঘরে মায়ের পচাগলা দেহ! মেয়েকে রিহ্যাবে পাঠাল পুলিশ - Body Recovered in Howrah - BODY RECOVERED IN HOWRAH

Decomposed Body Recovery in Howrah: মায়ের দেহ পচে গন্ধ ছড়ায় এলাকায় ৷ পুলিশ এসে বাড়ি থেকে মায়ের দেহ উদ্ধার করে ৷ মায়ের সঙ্গে থাকতেন মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে ৷ তাঁকে রিহ্যাবে পাঠিয়েছে পুলিশ ৷

Decomposed body recovered from Howrah
হাওড়ায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মহিলার পচাগলা দেহ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 10, 2024, 8:29 PM IST

হাওড়া, 10 জুলাই: বন্ধ ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মায়ের পচাগলা মৃতদেহ ৷ আর সেই দেহ আগলে 4দিন ধরে বসেছিলেন তাঁর মেয়ে ৷ বুধবার পুলিশ গিয়ে মায়ের দেহ উদ্ধার করে ৷ মেয়েকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠায় ৷ এদিনের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জি হাট থানার হাওড়ার তাঁতি পাড়া এলাকার 8 নম্বর তিব্বতিবাবা লেনে ৷

হাওড়ায় ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মহিলার পচা-গলা দেহ (ইটিভি ভারত)

2017 সালে প্রবীণদের দেখভালের জন্য হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে 'শ্রদ্ধা' নামের একটি সংগঠন তৈরি হয় ৷ যদিও তারপর থেকে হাওড়া শহরে একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন হাওড়ার তাঁতি পাড়া এলাকার আট নম্বর তিব্বতিবাবা লেনের বাড়ির ভিতর থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়ায় ৷ তীব্র কটু গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন ৷ চ্যাটার্জি হাট থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে ঘরের মেঝেতে পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মিনতি মুখোপাধ্যায় (70) ৷ আর মাকে আগলে রয়েছেন মেয়ে কাকলি মুখোপাধ্যায় (45) ৷

ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা থেকে ছুটে আসেন মিনতিদেবীর ভাই বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, তাঁর দিদি অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ৷ আর তার ভাগনিও মানসিক ভারসাম্যহীন ৷ মাঝেমধ্যে তিনি আসতেন খোঁজ নিতে ৷ দিন-দশেক আগেও এসে তিনি টাকা দিয়ে যান ৷ তারই মধ্যে ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা ৷

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অধিকারিকদের অনুমান, মৃতদেহটি দিন চারেক আগে থেকে ওই ঘরের মধ্যে পড়েছিল ৷ অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে ৷ যদিও বর্তমানে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেছে বলেই জানা গিয়েছে ৷ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারা যাবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা ৷

পাশাপাশি ওই বৃদ্ধার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ৷ সুস্থ হলে তাঁকে আত্মীয়দের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ উল্লেখ্য, এর আগেও হাওড়ার বুকেই চ্যাটার্জীহাট থানা-সহ কয়েকটি জায়গায় এক রকম ঘটনা ঘটেছে ৷ এছাড়াও 2015 সালের 15 জুন কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের একটি বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় 77 বছরের একজন বৃদ্ধের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ ৷

পুলিশ সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করতেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে ৷ জানা যায়, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে দিদি দেবযানী দে-এর কঙ্কালের সঙ্গে বাস করছেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি ৷ এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয় ৷

হাওড়া, 10 জুলাই: বন্ধ ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মায়ের পচাগলা মৃতদেহ ৷ আর সেই দেহ আগলে 4দিন ধরে বসেছিলেন তাঁর মেয়ে ৷ বুধবার পুলিশ গিয়ে মায়ের দেহ উদ্ধার করে ৷ মেয়েকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠায় ৷ এদিনের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জি হাট থানার হাওড়ার তাঁতি পাড়া এলাকার 8 নম্বর তিব্বতিবাবা লেনে ৷

হাওড়ায় ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মহিলার পচা-গলা দেহ (ইটিভি ভারত)

2017 সালে প্রবীণদের দেখভালের জন্য হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে 'শ্রদ্ধা' নামের একটি সংগঠন তৈরি হয় ৷ যদিও তারপর থেকে হাওড়া শহরে একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন হাওড়ার তাঁতি পাড়া এলাকার আট নম্বর তিব্বতিবাবা লেনের বাড়ির ভিতর থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়ায় ৷ তীব্র কটু গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন ৷ চ্যাটার্জি হাট থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে ঘরের মেঝেতে পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মিনতি মুখোপাধ্যায় (70) ৷ আর মাকে আগলে রয়েছেন মেয়ে কাকলি মুখোপাধ্যায় (45) ৷

ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা থেকে ছুটে আসেন মিনতিদেবীর ভাই বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, তাঁর দিদি অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ৷ আর তার ভাগনিও মানসিক ভারসাম্যহীন ৷ মাঝেমধ্যে তিনি আসতেন খোঁজ নিতে ৷ দিন-দশেক আগেও এসে তিনি টাকা দিয়ে যান ৷ তারই মধ্যে ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা ৷

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অধিকারিকদের অনুমান, মৃতদেহটি দিন চারেক আগে থেকে ওই ঘরের মধ্যে পড়েছিল ৷ অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে ৷ যদিও বর্তমানে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেছে বলেই জানা গিয়েছে ৷ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারা যাবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা ৷

পাশাপাশি ওই বৃদ্ধার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ৷ সুস্থ হলে তাঁকে আত্মীয়দের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ উল্লেখ্য, এর আগেও হাওড়ার বুকেই চ্যাটার্জীহাট থানা-সহ কয়েকটি জায়গায় এক রকম ঘটনা ঘটেছে ৷ এছাড়াও 2015 সালের 15 জুন কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের একটি বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় 77 বছরের একজন বৃদ্ধের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ ৷

পুলিশ সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করতেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে ৷ জানা যায়, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে দিদি দেবযানী দে-এর কঙ্কালের সঙ্গে বাস করছেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি ৷ এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.