কোচবিহার, 30 জুন: মাথাভাঙার রুইডাঙ্গা এলাকায় 'নির্যাতিতা' বিজেপি নেত্রীর বয়ান রেকর্ড করল পুলিশ । রবিবার সকালে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার মহিলা থানায় নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় । বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস ও সহ-সভাপতি দীপা চক্রবর্তী 'নির্যাতিতা' নেত্রীকে থানায় নিয়ে যান । এরপর পুলিশের কাছে ওই মহিলা তাঁর জবানবন্দি দেন ৷
প্রসঙ্গত, গতকাল বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল অভিযোগ করেছিলেন যে, পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান না-নিয়ে আসল ঘটনাকে চাপা দিতে চাইছে । নিজেদের মতো করে কেস ডায়েরি সাজাচ্ছে । অগ্নিমিত্রা পালের এই অভিযোগের পরই দেখা গেল এদিন পুলিশ ওই নির্যাতিতার বয়ান নিল ।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, "পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে । তাই ঘটনার পর পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও নির্যাতিতার বয়ান নেয়নি । আসলে তৃণমূলের কথায় পুলিশ ওই ঘটনাকে চাপা দিতে চাইছে । তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে চাইছে । কিন্তু আমরা শেষ দেখে ছাড়ব ।"
গত 25 ফেব্রুয়ারি কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা-2 ব্লকের রুইডাঙা গ্রামে বিজেপি করার 'অপরাধে' এক মহিলার উপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ । ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে জলেও চোবানো হয় বলে অভিযোগ । ঘটনার পর নির্যাতিতাকে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । ইতিমধ্যে ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ যদিও পুলিশের দাবি, এটা একেবারেই পারিবারিক ঘটনা । এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই । ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি ।
শনিবার দুপুরে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেন, পুলিশ এখনও নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেনি । আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে । এরপরই রবিবার সকালে কোতোয়ালি থানায় নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয় । এদিকে, ওই নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে শনিবার রাতে কোচবিহারে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য ডেলিনা কংবুপ । আজ রবিবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি ৷ পাশাপাশি তিনি যাবেন মাথাভাঙার রুইডাঙা গ্রামে ৷