ETV Bharat / state

রাত কাটিয়ে টাকা না দিয়ে পালায় ক্যাফে বিস্ফোরণে ধৃতরা, প্রকাশ্যে নয়া তথ্য - Bengaluru Cafe Blast - BENGALURU CAFE BLAST

Rameswaram Cafe Blast Case: রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের ধৃতরা কলকাতারই তিনটি হোটেলে রাত কাটিয়েছিলেন ৷ রয়েছে গেস্ট হাউসের বিল না মেটানোর অভিযোগও ৷

Rameswaram Cafe Blast, রামেশ্বরম ক্যাফে
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 12, 2024, 10:58 PM IST

কলকাতা, 12 এপ্রিল: শুধু একটি হোটেলে নয়, বরং কলকাতায় পরপর তিনটি জায়গার হোটেলে বিনা পরিচয়পত্রে রাত কাটিয়েছিল রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই অভিযুক্ত । হোটেলে থেকে রাত কাটিয়ে ধৃতরা টাকা না দিয়েও পালায় ৷ এমনই তথ্য় উঠে এসেছে তদন্তে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সূত্রের খবর, মধ্য কলকাতার লেলিন সরণীর হোটেল ছাড়াও কলকাতার বন্দর এলাকার খিদিরপুরের একটি গেস্ট হাউসেও এক রাত কাটিয়ে ছিলেন বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আবদুল মাথিন তাহা । জানা গিয়েছে, পরের দিন সকালে টাকা না-দিয়েই পালিয়ে গিয়েছিল দু'জন ।

গেস্ট হাউসের ফটোকপির যন্ত্র খারাপ থাকায় তাঁদের পরিচয়পত্রের প্রতিলিপি সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানতে পেরেছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, খিদিরপুরের একটি হোটেলে খাতায় তাদের নাম লেখা ছিল । বেঙ্গালুরু পুলিশ তদন্ত করতে এসে দেখে, খাতার সেই পাতাও ছেঁড়া। এরপর ধৃতরা উঠেছিলেন একবালপুরের এক গেস্ট হাউসে । তদন্তকারীদের অনুমান, সেখানে ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ছিল অভিযুক্তরা ।

দু'জনকে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর তাদের প্রাথমিকভাবে জেরা করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । বেঙ্গালুরুর যে থানাতে এই ঘটনার প্রথম এফআইআর হয়েছিল সেই জায়গায় তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে । তবে কলকাতার তিনটি জায়গার গেস্ট হাউসে তারা থাকল এবং একটি গেস্ট হাউসে বিনা টাকায় রাত কাটিয়ে ফেলল অথচ পুলিশ কিছুই খবর পেল না এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

যদিও এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, "কলকাতার অলিতে-গলিত এই যে সকল ছোট ছোট হোটেলগুলি রয়েছে সেগুলিকে নিজেদের সেফ করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে থাকে অপরাধীরা । আমরা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট হোটেলগুলিতে কথা বলেছি ৷ পুলিশের কথা তারা কোনও পরোয়া করে না ৷ তার জন্যই আজ এই অবস্থা ৷ গোপন তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপক্ষকেও বলা রয়েছে যারাই আসুক না কেন তাদের সঠিক পরিচয়পত্র জমা রাখার পর তবেই যেন ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয় ।"

আরও পড়ুন :

  1. বেঙ্গালুরুর ক্যাফের বাসন মাজার জায়গায় রাখা হয়েছিল বিস্ফোরক, দাবি এনআইএ’র
  2. লালবাজারের নাকের ডগায় রাত কাটায় জঙ্গিরা, জানতেই পারেনি কেউ
  3. আমরা এনআইএ-কে সাহায্য করেছি, যৌথ অভিযানে গ্রেফতার 2: পুলিশ সুপার

কলকাতা, 12 এপ্রিল: শুধু একটি হোটেলে নয়, বরং কলকাতায় পরপর তিনটি জায়গার হোটেলে বিনা পরিচয়পত্রে রাত কাটিয়েছিল রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই অভিযুক্ত । হোটেলে থেকে রাত কাটিয়ে ধৃতরা টাকা না দিয়েও পালায় ৷ এমনই তথ্য় উঠে এসেছে তদন্তে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সূত্রের খবর, মধ্য কলকাতার লেলিন সরণীর হোটেল ছাড়াও কলকাতার বন্দর এলাকার খিদিরপুরের একটি গেস্ট হাউসেও এক রাত কাটিয়ে ছিলেন বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আবদুল মাথিন তাহা । জানা গিয়েছে, পরের দিন সকালে টাকা না-দিয়েই পালিয়ে গিয়েছিল দু'জন ।

গেস্ট হাউসের ফটোকপির যন্ত্র খারাপ থাকায় তাঁদের পরিচয়পত্রের প্রতিলিপি সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানতে পেরেছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, খিদিরপুরের একটি হোটেলে খাতায় তাদের নাম লেখা ছিল । বেঙ্গালুরু পুলিশ তদন্ত করতে এসে দেখে, খাতার সেই পাতাও ছেঁড়া। এরপর ধৃতরা উঠেছিলেন একবালপুরের এক গেস্ট হাউসে । তদন্তকারীদের অনুমান, সেখানে ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ছিল অভিযুক্তরা ।

দু'জনকে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর তাদের প্রাথমিকভাবে জেরা করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । বেঙ্গালুরুর যে থানাতে এই ঘটনার প্রথম এফআইআর হয়েছিল সেই জায়গায় তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে । তবে কলকাতার তিনটি জায়গার গেস্ট হাউসে তারা থাকল এবং একটি গেস্ট হাউসে বিনা টাকায় রাত কাটিয়ে ফেলল অথচ পুলিশ কিছুই খবর পেল না এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

যদিও এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, "কলকাতার অলিতে-গলিত এই যে সকল ছোট ছোট হোটেলগুলি রয়েছে সেগুলিকে নিজেদের সেফ করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে থাকে অপরাধীরা । আমরা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট হোটেলগুলিতে কথা বলেছি ৷ পুলিশের কথা তারা কোনও পরোয়া করে না ৷ তার জন্যই আজ এই অবস্থা ৷ গোপন তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপক্ষকেও বলা রয়েছে যারাই আসুক না কেন তাদের সঠিক পরিচয়পত্র জমা রাখার পর তবেই যেন ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয় ।"

আরও পড়ুন :

  1. বেঙ্গালুরুর ক্যাফের বাসন মাজার জায়গায় রাখা হয়েছিল বিস্ফোরক, দাবি এনআইএ’র
  2. লালবাজারের নাকের ডগায় রাত কাটায় জঙ্গিরা, জানতেই পারেনি কেউ
  3. আমরা এনআইএ-কে সাহায্য করেছি, যৌথ অভিযানে গ্রেফতার 2: পুলিশ সুপার
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.