ETV Bharat / state

আন্তঃরাজ্য অপহরণ-কাণ্ডে ধৃত 5, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের ধরতে নাজেহাল পুলিশ ! - INTER STATE KIDNAPPING CASE

পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পলাতক অপহরণকারী দুষ্কৃতীরা ৷ ঘটনায় ঝাড়খণ্ড পুলিশের বিরুদ্ধে সমন্বয়ের অভিযোগ ৷

INTER STATE KIDNAPPING CASE
আন্তঃরাজ্য অপহরণ-কাণ্ডে অধরা ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরা ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 26, 2024, 3:32 PM IST

আসানসোল, 26 অক্টোবর: দুই প্রতিবেশী রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের দাবি করা হলেও, তার ফল মিলছে না ৷ তার প্রমাণ আন্তঃরাজ্য অপহরণ-কাণ্ডে এখনও অধরা ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরা ৷ আসানসোল থেকে যুক্ত পাঁচ অপহরণকারী শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হয়েছে ৷ তবে, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের ধরতে অভিযান চালানো হলেও, তারা পালাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷

গত 20 অক্টোবর আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ী নকুল মণ্ডলকে অপহরণ করা হয় ৷ ঘটনাস্থলের কাছেই আবার আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের বাড়ি ৷

আন্তঃরাজ্য অপহরণ-কাণ্ডে ধৃত 5 দুষ্কৃতী ৷ (ইটিভি ভারত)

এই ঘটনায় আসানসোল ও ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের একটি যৌথ চক্র জড়িত বলে জানা গিয়েছে ৷ তদন্তে নেমে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ অপহরণে জড়িত সন্দেহে এরাজ্যের পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে শুক্রবার রাতে ৷ কিন্তু, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের ধরতে গেলেও, ব্যর্থ হতে হয় তদন্তকারীদের ৷

আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, দিনের বেলায় পুলিশের পোশাকে নকুল মণ্ডলকে অপহরণ করা হয়েছিল সারদাপল্লির মতো ভিআইপি এলাকা থেকে ৷ নকুলের সঙ্গে তাঁর দুই বন্ধুও ছিলেন ৷ ঘটনার পর তাঁরা ঝাড়খণ্ডে ফিরে যান এবং তাঁর পরিবারকে খবর দেয় ৷ পরিবারের তরফে আসানসোল দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ অভিযোগ দায়ের হতেই সিসিটিভি ফুটেজ থেকে গাড়ির নম্বর নিয়ে, তা সব চেক পোস্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷

এরই মধ্যে, 20 তারিখ রাতে অপহৃত ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফোন করে 25 লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুষ্কৃতীরা ৷ সেই ফোন কল ট্র্যাক করতে শুরু করে পুলিশ ৷ এই পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতীরা গাড়িতে করে নকুলকে নিয়ে আসানসোল শহরে ঘুরতে থাকে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ব্যবসায়ীকে কুলটি ও সালানপুর থানার সীমানা এলাকায় 19 নম্বর জাতীয় সড়কে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা ৷ সেখান থেকে পুলিশের টহলদারি ভ্যান তাঁকে উদ্ধার করে ৷

INTER STATE KIDNAPPING CASE
ব্যবসায়ীর অপহরণে অভিযুক্ত আসানসোল থেকে ধৃত 5 দুষ্কৃতী ৷ (নিজস্ব চিত্র)

এরপর ব্যবসায়ীর থেকে পুলিশ জানতে পারে, তাঁকে আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় একটি বাড়িতে সারাদিন রাখা হয়েছিল ৷ সেই মতো পুলিশ বাড়িটি খুঁজে বের করে ৷ আটক করা হয় বাড়ির মালিককে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে বাড়ির মালিক জানান, বেশ কয়েকজন যুবককে বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে বাড়ির মালিকের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণে যুক্ত পাঁচ দুষ্কৃতীকে শুক্রবার রাতে আসানসোলের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জেনেছে, অপহরণের পরিকল্পনা হয়েছিল ঝাড়খণ্ডে ৷ সেখানকার কয়েকজন দুষ্কৃতীও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ৷ সেই মতো, শুক্রবার রাতেই ঝাড়খণ্ড পুলিশের সাহায্য অভিযান চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা ৷ কিন্তু, ভিনরাজ্যের সেই দুষ্কৃতীরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় ৷ এই ঘটনায় বাংলার পুলিশের সঙ্গে ভিনরাজ্যের পুলিশের সমন্বয়ের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷

আসানসোল, 26 অক্টোবর: দুই প্রতিবেশী রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের দাবি করা হলেও, তার ফল মিলছে না ৷ তার প্রমাণ আন্তঃরাজ্য অপহরণ-কাণ্ডে এখনও অধরা ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরা ৷ আসানসোল থেকে যুক্ত পাঁচ অপহরণকারী শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হয়েছে ৷ তবে, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের ধরতে অভিযান চালানো হলেও, তারা পালাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷

গত 20 অক্টোবর আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ী নকুল মণ্ডলকে অপহরণ করা হয় ৷ ঘটনাস্থলের কাছেই আবার আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের বাড়ি ৷

আন্তঃরাজ্য অপহরণ-কাণ্ডে ধৃত 5 দুষ্কৃতী ৷ (ইটিভি ভারত)

এই ঘটনায় আসানসোল ও ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের একটি যৌথ চক্র জড়িত বলে জানা গিয়েছে ৷ তদন্তে নেমে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ অপহরণে জড়িত সন্দেহে এরাজ্যের পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে শুক্রবার রাতে ৷ কিন্তু, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের ধরতে গেলেও, ব্যর্থ হতে হয় তদন্তকারীদের ৷

আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, দিনের বেলায় পুলিশের পোশাকে নকুল মণ্ডলকে অপহরণ করা হয়েছিল সারদাপল্লির মতো ভিআইপি এলাকা থেকে ৷ নকুলের সঙ্গে তাঁর দুই বন্ধুও ছিলেন ৷ ঘটনার পর তাঁরা ঝাড়খণ্ডে ফিরে যান এবং তাঁর পরিবারকে খবর দেয় ৷ পরিবারের তরফে আসানসোল দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ অভিযোগ দায়ের হতেই সিসিটিভি ফুটেজ থেকে গাড়ির নম্বর নিয়ে, তা সব চেক পোস্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷

এরই মধ্যে, 20 তারিখ রাতে অপহৃত ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফোন করে 25 লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুষ্কৃতীরা ৷ সেই ফোন কল ট্র্যাক করতে শুরু করে পুলিশ ৷ এই পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতীরা গাড়িতে করে নকুলকে নিয়ে আসানসোল শহরে ঘুরতে থাকে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ব্যবসায়ীকে কুলটি ও সালানপুর থানার সীমানা এলাকায় 19 নম্বর জাতীয় সড়কে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা ৷ সেখান থেকে পুলিশের টহলদারি ভ্যান তাঁকে উদ্ধার করে ৷

INTER STATE KIDNAPPING CASE
ব্যবসায়ীর অপহরণে অভিযুক্ত আসানসোল থেকে ধৃত 5 দুষ্কৃতী ৷ (নিজস্ব চিত্র)

এরপর ব্যবসায়ীর থেকে পুলিশ জানতে পারে, তাঁকে আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় একটি বাড়িতে সারাদিন রাখা হয়েছিল ৷ সেই মতো পুলিশ বাড়িটি খুঁজে বের করে ৷ আটক করা হয় বাড়ির মালিককে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে বাড়ির মালিক জানান, বেশ কয়েকজন যুবককে বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে বাড়ির মালিকের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণে যুক্ত পাঁচ দুষ্কৃতীকে শুক্রবার রাতে আসানসোলের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জেনেছে, অপহরণের পরিকল্পনা হয়েছিল ঝাড়খণ্ডে ৷ সেখানকার কয়েকজন দুষ্কৃতীও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ৷ সেই মতো, শুক্রবার রাতেই ঝাড়খণ্ড পুলিশের সাহায্য অভিযান চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা ৷ কিন্তু, ভিনরাজ্যের সেই দুষ্কৃতীরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় ৷ এই ঘটনায় বাংলার পুলিশের সঙ্গে ভিনরাজ্যের পুলিশের সমন্বয়ের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.