কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি: রাজ্য সরকারের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতে ধরনায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুক্রবার দুপুর 1টা থেকে কলকাতার রেড রোডে বাবা সাহেব আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধরনায় বসবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেই কারণে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের ধরনায় বসতে বারণ করল পুলিশ ৷ ময়দান থানা থেকে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বসা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের মেইল করে আগামি 3 দিন ধরনায় বসতে বারণ করা হয়েছে ।
এর আগেও দুর্গাপুজোর কার্নিভাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানের সময়ে তাঁদের ধরনায় বসতে বাধা দিয়েছে পুলিশ । কড়া নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে প্রত্যেকবারই বসতে নিষেধ করা হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের । পুলিশের এই নির্দেশ বরাবরই মেনে নিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এবারেও তার অন্যথা হচ্ছে না । তাঁদের কথায়, "আমরা সবরকম সহযোগিতা করব । শুধু একটাই দাবি, আমাদের ন্যায্য অধিকারটা দিন । তিনদিন কেন আমরা কখনওই ধরনায় বসতে চাই না । আমরা চাই শুধু আমাদের চাকরিটা ।"
প্রসঙ্গত, আগামিকাল থেকে ধরনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার দাবিতে দিল্লিতে ধরনায় বসতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে । সেখানে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সময় দিল্লিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় । পরবর্তীকালে কলকাতায় ফিরে এসে রাজভবনের সামনেও ধরনা দিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, এরপরও কেন্দ্র সরকার টাকা না দিলে লাগাতার আন্দোলন চলবে ।
অন্যদিকে, প্রায় হাজার দিনের উপর ন্যায্য চাকরির দাবিতে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধরনা দিচ্ছেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা । তাঁদের ধরনার হাজার দিন উপলক্ষে একাধিক কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছিল । মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা । ওইদিন ধরনা মঞ্চে যান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । পরবর্তীকালে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও দু'বার বৈঠক হয় চাকরিপ্রার্থীদের । বৈঠক সদর্থক বলেই জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা । তারপরেও অবশ্য অবস্থার পরিবর্তন হয়নি ৷
আরও পড়ুন :