বর্ধমান, 24 অগস্ট: ঘটনার 9 দিন পর বর্ধমানের নান্দুরে আদিবাসী তরুণী খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম অজয় টুডু। শুক্রবার তাকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ ৷ শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হবে।
জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, "বর্ধমানের নান্দুরে তরুণীকে খুনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকায়। এদিন তাকে পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হবে।"
ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও অভিযুক্ত কেন ধরা পড়ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে পূর্ব বর্ধমান জেলায় আন্দোলনে নামে আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকা মাঝি পারগানা মহল। তারা পরপর দু'দিন বর্ধমানের গাংপুর, পূর্বস্থলীর নাদনঘাট মেমারি ও জামালপুর এলাকায় পথ অবরোধ করে অপরাধীকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। দোষীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়াার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল এই আদিবাসী সংগঠন। সেই সময়ের মধ্যে অপরাধী ধরা না-পড়লে, তারা রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেয় ৷ পাশাপাশি, বামছাত্র সংগঠন ও জেলা বিজেপি নেতৃত্বও অপরাধীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হয় ৷
গত 18 অগস্টের রাতে অর্থাৎ রাজ্যের 'মেয়েদের রাত দখলের' রাতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান-2 ব্লকের নান্দুর এলাকায় গলার নলি কেটে এক আদিবাসী তরুণীকে খুন করা হয়। তাঁর বাড়ি বর্ধমান থানার নান্দুর ঝাপানতলা এলাকায় ৷ বছরদু'য়েক আগে ওই তরুণী বেঙ্গালুরুতে একটা শপিং মলে কাজ করতে যান ৷ শপিং মলে কাজ করার পাশাপাশি তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগে এমএ পড়ছিলেন ৷ চলতি মাসের 12 তারিখ তিনি বাড়ি ফেরেন ৷ কিন্তু, বাড়ি ফেরার দু'দিন পর অর্থাৎ 14 অগস্ট রাত আটটা নাগাদ তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি ৷ কিছুক্ষণ পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷