হিঙ্গলগঞ্জ, 4 ফেব্রুয়ারি: পথ আটকে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর কাছে ফোন নম্বর চেয়েছিল এলাকার ছেলেরা। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করায় পকেট থেকে বন্দুক বের করে রীতিমতো শাসানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল জনাকয়েক 'রোমিও'-র বিরুদ্ধে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন যুবককে আটক করেছে। পরে জানা যায় বন্দুকটি আসল নয়, খেলনা।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। শনিবার ছিল মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা দিতে হিঙ্গলগঞ্জের এবিএস মদনমোহন হাইস্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, তখনই পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে পথ আটকে কয়েকজন যুবক তাদের উত্যক্ত করা শুরু করে। বারবার ফোন নম্বর চাইতে থাকে ওই দুই ছাত্রীর। কিন্তু, অচেনা ওই যুবকদের ফোন নম্বর দিতে রাজি হয়নি তারা।তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে পকেট থেকে সোজা পিস্তল বের করে শাসানি দিতে থাকে রোমিও এক যুবক। এমনটাই অভিযোগ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ।
অভিযোগকারী ছাত্রীর কথায়, "অনেকক্ষণ ধরে পিছন পিছন এসে নম্বর চাইছিল। বারবার বলছিল,নম্বর দে। আমি না-দিয়ে চলে আসি। তারপর পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে এসে বলে যদি নম্বর না দিস তোকে মারতে বাধ্য হব। এই কথা বলে বন্দুক বের করে।" এদিকে,একেবারে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় হতবাক অন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। খবর পেয়ে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তিন যুবককে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগে আটক করা হয়।
অন্যদিকে, মাধ্যমিকের দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে রাজকুমার সাউ নামে এক পরীক্ষার্থীর। তার বাড়ি কাঁকিনাড়া 5 নম্বর সাইডিং এলাকায়। সে কাঁকিনাড়া হাইস্কুলের ছাত্র। শ্যামনগর গুড়দহ ঋষি অরবিন্দ হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল এই ছাত্রের। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: