রায়গঞ্জ, 16 জুলাই: ইসলামপুর তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা বাপি রায়কে খুনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম অনিকেত সরকার ৷ মঙ্গলবার তাকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক 10 দিনের পুলিশি হেফাজত নির্দেশ দিয়েছেন । নিহতের স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷ তৃণমূল নেতার বাপির সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত শত্রুতা ছিল অনিকেতের ৷
এই ঘটনায় ইসলামপুর জেলা পুলিশ নড়ে চড়ে বসে। অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। দুই দিন পর ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর থেকে অনিকেত সরকার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ চেয়ে মঙ্গলবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল জানান, ইসলামপুর মহকুমা আদালতের এ সি জি এম কোটের বিচারক সৌরভ দাস অনিকেত সরকারকে 14 দিনের বদলে 10 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । অনিকেতের সঙ্গে বাপির ব্যাবসা সংক্রান্ত নিয়ে পুরনো শত্রুতা ছিল। বাপির স্ত্রী এই একটি লিখিত অভিযোগও করেন বলে জানান সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল।
নিহতের পরিবার সূত্রে খবর, গত শনিবার স্থানীয় একটি হোটেলে গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল নেতা বাপি রায় ৷ আগামী 21 জুলাই দলের শহিদ দিবসের যোগদান ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু ৷ হঠাৎই স্থানীয় রামগঞ্জ-2 গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাধন মহঃ সাজ্জাদ তাঁকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। স্থানীয় একটি ধাবায় মহম্মদ সাজ্জাদ ও বাপি রায়রে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছোঁড়ের দুস্কৃতীদের একটি দল ৷ গুলিবিদ্ধ হন বাপি রায় এবং মহম্মদ সাজ্জাদ। দ্রুত তাঁদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ চিকিৎসকরা বাপি রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মহম্মদ সাজ্জাদকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল ৷