কলকাতা, 22 জানুয়ারি: বাম ছাত্র সংগঠনের মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৷ মিছিলে বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে মিছিলে অংশ নেওয়া বাম সংগঠনগুলির সদস্যরা ৷ যদিও, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল সম্পূর্ণ করে তারা ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে বেলায় একটি অল স্টেক হোল্ডার মিছিলের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা ৷ তবে, মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি না থাকায় বাধা দেয় যাদবপুর থানা ৷ কিন্তু, সেই বাধা পেরিয়েই অবশেষে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত মিছিল করে তারা ৷
সোমবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে রাম মন্দির উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল একদল পড়ুয়া ৷ সেই ভিডিয়ো দেখাতে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কোনও ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনরকম কর্মসূচি করতে পারবে না ৷ অভিযোগ তার পরেও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার সরাসরি সম্প্রচার দেখানো শুরু হয় ৷ বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ ৷
অন্যদিকে স্লোগানিং করতে করতে এগিয়ে আসে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি ৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে সম্প্রচার দেখানো পড়ুয়াদের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ৷ পরিস্থিতির সামাল দিতে গেলে সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত ও সিকিউরিটি আধিকারিকদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠে ৷ সকালের এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বিকেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তিন নম্বর গেট থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেয় অল স্টেক হোল্ডার ৷
একবার ক্যাম্পাসে ঘুরে, তারপর ঢাকুরিয়া পর্যন্ত মিছিল করার পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা ৷ কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলায় তা করতে বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ ৷ তবে, ক্যাম্পাসের বাইরে তাঁরা যে কোনও কর্মসূচি নিতে পারে বলেই জানিয়ে দেওয়া হয় ৷ তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ ৷
সেই মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেট থেকে মিছিলের পরিকল্পনা নেয় তারা ৷ কিন্তু, সেখানে বাধা দেয় যাদবপুর থানার পুলিশ ৷ তাদের মিছিলের অনুমতি নেই বলেই পড়ুয়াদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রশাসন ৷ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট খুলতে বাধা দেয় পুলিশ ৷ তখনই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ তবে, সেই গেট অবশেষে খুলে ঢাকুরিয়ার দিকে এগিয়ে যায় মিছিল ৷ তবে, অনুমতি না থাকায় প্রতিটি মোড়ে মোড়ে মিছিল আটকার চেষ্টা করে পুলিশ ৷ সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙা হয় মিছিলে অংশ নেওয়া পড়ুয়াদের তরফে ৷ পরিস্থিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি বিদিশা কলীতা ৷ কিন্তু সেই বাধাকে উপেক্ষা করে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত মিছিল করে অল স্টেক হোল্ডার
ঢাকুরিয়া থেকে সেই মিছিল আবার ঘুরে আসে যাদবপুরের 8বি বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত ৷ সেখানেই নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল জ্বালানো হয় ৷ তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দু'নম্বর গেট দিয়ে যখন তারা ভিতরে ঢুকতে গেলে, সেই গেট বন্ধ থাকে ৷ তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি ছাত্র গেট টোপকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকেন ৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গেট খোলার অনুরোধ করা হয় ৷ সেই মতো দু’নম্বর গেট খুলে দেয় কৃর্তৃপক্ষ ৷
আরও পড়ুন: