আসানসোল, 7 নভেম্বর: আজ ছটপুজো । যাঁরা এই পুজো করছেন, তাঁরা এদিন বিকেলে সূর্যাস্তের সময় এবং আগামিকাল ভোরে সূর্যোদয়ের সময় অর্ঘ্য দান করবেন । সেই উপলক্ষে আসানসোলের ঘাটে ঘাটে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷
বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আসানসোল যেহেতু মিশ্র সংস্কৃতির শহর, সেই কারণে ছট পুজো মানেই অবাঙালিদের কাছে একটি বিরাট উৎসব । আর এই উৎসবে যাতে কোনওরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না-ঘটে, সেই কারণে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । দামোদর নদে যে ঘাটগুলিতে মানুষের ভিড় নামে, সেখানে ওয়াচ টাওয়ার করে চলবে নজরদারি । এছাড়াও থাকছে ড্রোন ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরা, কুইক রেসপন্স টিম, বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা ও দুর্ঘটনায় মোকাবিলা করতে বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রের প্রশিক্ষিত টিম ।
আসানসোলে দামোদরের ভূতনাথ ঘাট, বরাকর ঘাট, ডিসেরগড় ঘাট, রানিগঞ্জের বেশ কয়েকটি ঘাটে মানুষের ঢল নামে । এছাড়াও গাঁড়ুই নদীতে প্রভু ছট ঘাট-সহ বিভিন্ন বড় জলাশয়ে এই ছটপুজো হয় । ছটপুজোয় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না-ঘটে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশ ও আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে । যাঁরা পুজো করবেন তাঁদের ছটঘাট পর্যন্ত যেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণে একদিকে যেমন ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে, পাশাপাশি ছটঘাটে পর্যাপ্ত লাইট, পানীয় জল অনান্য নানা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । বড় ছটঘাটগুলিতে রয়েছে স্বাস্থ্য টিম ।
অন্যদিকে বড় ছটঘাটগুলিতে যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে । ওয়াচ টাওয়ার করে পুলিশকর্মীরা নজরদারি চালাবেন । এছাড়াও থাকছে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা । নজরদারি চালাতে বিভিন্ন ঘাটে উড়বে ড্রোন ।
গত কয়েক বছরে দামোদর নদে দুর্ঘটনা বাড়ছে । অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি কেটে নেওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মত স্থানীয়দের । এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের দাদা তর্পণ করতে গিয়ে দামোদর নদীতে তলিয়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন । এই কারণে পুলিশ আরও সচেষ্ট যাতে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে । তারপরেও যদি কিছু ঘটে যায়, দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য রাখা হচ্ছে দুর্যোগ মোকাবিলা কেন্দ্রের প্রশিক্ষিত কর্মীদের । এককথায় আসানসোলে ছটপুজোকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন ।