সুন্দরবন, 19 মে: চোরাশিকারিদের হাতে খুন বন দফতরের কর্মী । শনিবার রাতে বোট নিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে টহল দেওয়ার সময় হরিণ শিকারিদের মুখোমুখি হন বনকর্মীরা । তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বনদফতরের ওই কর্মীর । তাঁর মাথায় কুড়ুলের আঘাতের চিহ্নও রয়েছে ।
বনদফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত বনকর্মীর নাম অমলেন্দু হালদার (59)। তিনি রায়দিঘির বাসিন্দা । জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেয় বোট নিয়ে বের হয়েছিলেন অমলেন্দুবাবু । সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন সহকর্মী ও বোটের দুই কর্মী । সুন্দরবনের বিদ্যা রেঞ্জের অফিসের অধীনে নেতিধোপানি ক্যাম্প এলাকার জঙ্গলে হরিণ শিকারীরা তাঁদের মুখোমুখি পড়ে যায় বলে খবর । তখনই দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই হয় । চোরাশিকারিদের ছোড়া গুলি লাগে অমলেন্দুবাবুর শরীরে । যদিও পরে তাঁকে কোপানো হয় বলেও মনে করা হচ্ছে । কারণ তাঁর মাথায় কুড়ুলের গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে । দেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে । ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে দেহ ।
শনিবার সন্ধের এই ঘটনার পর থেকে খোঁজ ছিল না অমলেন্দুবাবুর সঙ্গীদের । তবে রবিবার সকালে তাঁরা সকলেই ক্যাম্পে ফিরে আসেন । এই ঘটনার পর বনকর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে । দুষ্কৃতীদের খোঁজে জঙ্গলে শুরু হয়েছে তল্লাশি । নেতিধোপানি ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের দূরত্ব বেশি নয় । ফলে চোরাশিকারিরা আদপে বাংলাদেশের জলদস্যু ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
ঘটনাপ্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, "আমাদের একজন কর্মী মারা গিয়েছেন । বাকিরা সুরক্ষিতভাবে ফিরে এসেছেন । বিষয়টির সঙ্গে বাংলাদেশি জলদস্যু নাকি অন্য কেউ জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । দুর্গম এলাকায় ঘটনাটি ঘটায় তদন্তে সময় লাগছে ।"
আরও পড়ুন :