দার্জিলিং, 18 অক্টোবর: প্রতীক্ষার অবসান । অবশেষে বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন অত্যাধুনিক টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের শিলান্যাস করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । রবিবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন কাওয়াখালি ময়দানে একটি সভায় ভার্চুয়ালি ওই টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের শিলান্যাস করবেন তিনি । শুক্রবার একথা জানান দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ।
তিনি বলেন, "আমরা খুব খুশি যে বাগডোগরা বিমানবন্দরের শিলান্যাস হতে চলেছে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি তার শিলান্যাস করেন । বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র সরকার প্রথম থেকেই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছে ।’’
রাজু বিস্তা আরও বলেন, ‘‘যেহেতু বাগডোগরা বিমানবন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর সেই জন্য প্রথম থেকেই পরিকাঠামগত উন্নয়নের খুব প্রয়োজন ছিল । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার পর প্রায় 1500 কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছেন ।"
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিংটি আট হাজার বর্গমিটার জায়গা রয়েছে । তাতে প্রতিদিন 400 যাত্রী প্রতি ঘণ্টায় ধারণ ক্ষমতা রয়েছে । নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংটি হলে তার আয়তন হবে এক লক্ষ বর্গমিটার । যার মধ্যে 70 হাজার বর্গমিটারের কাজ প্রথম দফায় শেষ করা হবে । যার ফলে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত 3 হাজার 800 যাত্রী ধারণ করা যাবে ।
শুধু তাই নয়, নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংটিতে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং, 10টি এয়ারোব্রিজ থাকবে । যার মধ্যে ছ’টা এয়ারোব্রিজের কাজ প্রথম ধাপেই শেষ করা হবে । বিল্ডিংয়ের এপ্রোন এ - 321, বি - 737 এর মতো 16টি ছোট বিমান রাখার ব্যবস্থা থাকবে । আগামী আড়াই বছরের মধ্যে প্রথম ধাপের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রায় 1549 কোটি টাকার বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় আট হাজার যাত্রী চলাচল করে থাকে । 2020 সাল থেকে সেই সংখ্যা প্রায় 17 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । বর্তমানে বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিবছর প্রায় 25 লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে থাকে ।
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, 70 হাজার 390 বর্গমিটারে নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷ এর ফলে বাগডোগরা বিমানবন্দরের যাত্রী-ধারণ ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে মনে করছে পর্যটনমহল । পাশাপাশি বিমান পরিচালনার জন্য দু’টি ট্যাক্সিওয়ে, মাল্টিলেভেল পার্কিং তৈরি করা হবে । 2027 সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ।