কৃষ্ণনগর, 2 মার্চ: তিনি এলেন, দেখলেন, মাঠও ভরল ৷ তবে মতুয়াগড়ে সিএএ নিয়ে চুপই থাকলেন ৷ শনিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণে তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে শুরু করে, সন্দেশখালি, এমনকী মনরেগা দুর্নীতিও শোনা গেল ৷ তবে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বহুচর্চিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে একটি রাও কাটলেন না প্রধানমন্ত্রী ৷ এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে 42টি লোকসভা আসনেই পদ্ম ফোটার টার্গেট বেঁধে দিলেন ৷ তিনি স্পষ্ট বাংলায় বলেন, "বাংলার বিকাশ হবে, তবেই দেশের বিকাশ হবে ৷ 42টি লোকসভা আসনেই পদ্ম ফুটুক ৷ এইবার এনডিএ সরকার, চারশো পার ৷"
এদিকে বাংলায় সিএএ লাগু করা নিয়ে জোর চর্চা চলছে ৷ বারবার বিজেপি মন্ত্রী-নেতারা রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ চালু নিয়ে প্রচার করেছেন ৷ এমনকী গত বছরের 26 ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সেই সফরে তিনি পরিষ্কার বলেছিলেন, "পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার তৈরি হওয়ার মানে, শরণার্থীদের সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রদান করা ৷"
তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অভিযোগ করেন, "আমাদের দিদি বারবার শরণার্থীদের বিভ্রান্ত করে ৷ কখনও বলেন সিএএ হবে না, সিএএ আইন তৈরি হয়েও আটকে রয়েছে ৷" পশ্চিমবঙ্গে সিএএ চালু হওয়া নিয়ে জোর গলায় শাহ বলেছিলেন, "আজ আপনাদের সবার সামনেই বলছি, সিএএ এই দেশের আইন ৷ এই আইন প্রয়োগ কেউ আটকাতে পারবে না ৷ সবাই নাগরিকত্ব পাবে ৷"
এদিকে দু'মাসের সামান্য বেশি সময় পরে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এলেন ৷ শুধু তাই নয়, তিনি মতুয়াগড়ে সভা করলেন, যেখানে 40 শতাংশ ভোট মতুয়া সম্প্রদায়ের ৷ তবে সেখানে তিনি সিএএ লাগু হওয়া নিয়ে একটি কথাও বললেন না ৷ উলটে পশ্চিমবঙ্গের 42টি আসনেকেই টার্গেট করলেন ৷ সেবার অমিত শাহ কলকাতায় 35টিরও বেশি আসন জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ৷ শনিবার সেই সংখ্য়াও অতিক্রম করে রাজ্যবাসীর কাছে 42টি লোকসভা আসনেই জয়ের প্রতিশ্রুতি চাইলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷
আরও পড়ুন: