রঘুনাথগঞ্জ, 14 জুন: কপালে কোনও টিপ পরে বা তিলক কেটে স্কুলে আসা যাবে না ৷ এমন ফতোয়া জারির অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রধান শিক্ষিকা ৷ এর প্রতিবাদে শুক্রবার স্কুলের সামনেই খোল করতাল বাজিয়ে কীর্ত্তন গানে মজলেন অভিভাবকরা ৷ সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে সরব হলেন তাঁরা । ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের ৷
অভিভাবকরা টিপ বা তিলক না-পরার নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হন ৷ যদিও জেলা পরিদর্শক অমর কুমার শীল জানান, এই রকম কোনও সরকারি বিধি নেই ৷ পড়ুয়দের অভিযোগ, এই স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্রী কপালে তিলক কেটে আসে ৷ তাতেই আপত্তি জানান সংশ্লিষ্ট স্কুলের এক শিক্ষিকা ৷ সেই কথা অভিভাবকদের কানে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায় ৷ স্কুলে এসে প্রতিবাদে কীর্তনের দল নিয়ে স্কুল চত্বরে উপস্থিত হন অভিভাবকরা ৷ স্কুলের সামনেই কীর্তন গান শুরু করেন তারা ৷ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে চলে প্রতিবাদ ।
বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অনু মণ্ডলের অভিযোগ, সে তিলক কেটে স্কুলে এসেছিল ৷ এক শিক্ষিকা তাকে তিলক কেটে আসতে নিষেধ করেন । শুধু তাই নয় ওই ছাত্রীর আরও অভিযোগ, স্কুলের অনেকেই নিরামিষাশি। কিন্তু তাঁদের কয়েকজনকে মিড-ডে মিলের আমিষ খাবার খাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় । ঘটনার জেরে এদিন স্কুল চত্বরে তোলপাড় শুরু হয় ।
'তৃণমূলী ফতোয়া, আমাকে সিনেমায় নিলে হল মিলবে না !' রুদ্র-বাণে কী মত টলিপাড়ার
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শিক্ষিকার প্রসঙ্গেই প্রধান শিক্ষিকা করবী নন্দী বলেন, "বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা ওই ছাত্রীকে তিলক কেটে আসতে নিষেধ করেছিলেন। স্কুলে কেউ ধর্মীয় আচার আচরণ মানতে পারবে কি না, আমি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি।"
পাশাপাশি স্কুলে এরকম কোনও নিয়ম রয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক( মাধ্যমিক) অমর কুমার শীল বলেন, "এরকম কোনও সরকারি বিধিনিষেধ নেই। কেউ তিলক পরে আসতেই পারে। তাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলছি ।"
'রাজনীতি নিয়ে ফতোয়া জারি করি না', অবস্থান স্পষ্ট করে উষ্মা প্রকাশ বেলুড় মঠের