আসানসোল, 7 অগস্ট: ফের ধসের আতঙ্ক আসানসোলের কুলটিতে। মঙ্গলবার স্থানীয় সাঁকতোড়িয়ার কাছে রক্তা গ্রামের বাসিন্দা অসীম গোপের বাড়িতে ধস নামে। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে ওই পরিবার ও আশেপাশের প্রতিবেশীরা। খনি অঞ্চলের কারণেই এই ধস বলে দাবি, এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও ইসিএল কর্তাদের দেখা পাওয়া যায়নি ৷
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পর থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয় আসানসোলে। সেই সময়েই হটাৎ বিরাট শব্দ শুনতে পান অসীম গোপের পরিবার। প্রথমে বাজ পড়ার আওয়াজ মনে হলেও, শব্দের উৎসের সন্ধান খুঁজতে গিয়ে ভুল ভাঙে । পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখেন, বাড়ির পিছন দিকে বিরাট এলাকাজুড়ে ধস নেমেছে । শুধু তাই নয়, সেই গর্ত ধীরে ধীরে বাড়ছে ৷ একেবারে গৃহস্থ বাড়ির চত্বরে এই ধসের ঘটনায় আতঙ্কিত অসীম গোপের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। কারণ, খনি এলাকায় ধস নামলে আশেপাশের এলাকা গ্রাস করে নেয় ৷
বসতিপূর্ণ ধসের আতঙ্ক নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ৷ ঘটনার খবর পেয়ে আসে কুলটি থানার সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ ৷ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য। ইসিএলের অবহেলার কারণেই এই ধস নেমেছে বলে দাবি করেন তিনি । চন্দন আচার্য বলেন, "খনিজনিত কারণেই এই ধস। কয়লা তুলে নেওয়ার পর খনিতে ঠিকঠাক ভরাট না-করলে ধস নামে ৷ এক্ষেত্রেও সেইরকমই কিছু ঘটেছে ৷ অবিলম্বে ইসিএল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।" পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই এলাকায় না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
অতীতে সাঁকতোড়িয়া অঞ্চলে বহুবার ধসের ঘটনা ঘটেছে । খনির নীচে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছিল ৷ এমনকী নিজের উঠোনেই ধসের কারণে এক যুবতী মাটির তলায় চলে গিয়েছিল। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করেন এলাকাবাসী ৷ তারমধ্যে কুলটির রক্তা গ্রামে ধসের ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও সাঁকতোড়িয়া অঞ্চলেই ইসিএলের হেড কোয়ার্টার হওয়া স্বত্ত্বেও ইসিএলের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি। তারা এই বিষয়ে মুখ খুলতেও চায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অবিলম্বে পুনর্বাসন দিতে হবে। ধসের আতঙ্ক নিয়ে বিনিদ্র রাত্রি যাপন সম্ভব নয় ৷