কলকাতা, 22 জুলাই: শস্য শ্যামলা বাংলাদেশ আজ রক্তাক্ত। বন্দুকের আওয়াজে ঘুম ভাঙছে দেশবাসীর। ভয়াবহ এক পরিস্থিতি ওপার বাংলায়। তার মাঝে সেদেশে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন বাংলার শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। তাঁর ফেরার কথা ছিল আগামিকাল অর্থাৎ, মঙ্গলবার। কিন্তু শিক্ষাবিদ একদিন আগেই সরকারি সাহায্যে দেশে ফিরে এলেন অক্ষত অবস্থায় ৷ তাঁর কথায়, "ঘরে বসে শুনতাম বন্দুকের আওয়াজ। ভাগ্যিস গতকাল সুপ্রিম কোর্টের তরফে সদর্থক রায় এসেছে।"
গত 18 জুলাই প্রয়াত নাট্যকার সেলিম আলদীনের 75তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে আহ্বান করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পবিত্র সরকারকে। কিন্তু তিনি সেদেশে যাওয়ার পরেই পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে পড়ে। শিক্ষাবিদ ইটিভি ভারতকে বলেন, "যে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, সেটা আর হয়নি। তবে আমি ছিলাম আমার এক পরিচিতের বাড়িতে। সেখানে বড় কিছু অসুবিধা হয়নি।" অন্যবার বাংলাদেশ গেলে বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। কিন্তু এবারে সেই সব কিছুই হয়নি শিক্ষাবিদের। বরং তাঁর কথায়, "বাইরে কী চলছে তা খুব একটা দেখিনি। জানালা দিয়ে মাঝে মধ্যে দেখতাম লাঠি হাতে একদল ছাত্র জমায়েত করত রাস্তায়। আবার তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিচার্জ করতে দেখা যেত বাংলাদেশ পুলিশকে।"
বর্তমানে পুরো দেশে জারি আছে কারফিউ। এমনকী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে পবিত্র সরকারের একজন পরিচিত বিচারপতি রোহন কুদ্দুস রয়েছেন। তাঁর এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সাহায্যে বিশেষভাবে সোমবার একটি বিমানের টিকিট ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সোমবার সকালের বিমানে দেশে ফেরেন তিনি।
তবে ওখানকার পরিস্থিতি নিয়ে পবিত্র সরকারের মত, "অব্যশই ছাত্র দাবি ন্যায্য। এখন অব্যশই আসতে আসতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া উচিত। তবে আমি দেখলাম, প্রথমে এটা ছাত্র আন্দোলন থাকলেও পরবর্তীতে ক্রমেই রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। যা একেবারেই কাম্য নয় ৷"