কাকদ্বীপ, 26 মে: ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে একটু একটু করে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল ৷ তার আগে দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপে মুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত তিলকচন্দ্রপুর গ্রামের একশোর বেশি মৎস্যজীবী পরিবারকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে গেল হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ ৷ আজ দুপুর থেকে গ্রামে ঢুকে বাসিন্দাদের জরুরি সামগ্রী ও কাগজপত্র-সহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, সাগর-সহ কাকদ্বীপ এলাকায় মুড়িগঙ্গায় জলস্তর বেড়ে গিয়েছে ৷ 80-90 কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা গতিবেগে ঝড় শুরু হয়েছে, সঙ্গে প্রবল জলচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে মুড়িগঙ্গায় ৷
ঘূর্ণিঝড় রেমালের মোকাবিলায় দফায় দফায় বৈঠক করছে জেলা প্রশাসন ৷ কোথায় কোথায় বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে, সেগুলি খালি করছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ৷ উল্লেখ্য, শনিবার মধ্যরাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা গিয়েছে সাগর এলাকায় ৷ ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির দাপট শুরু হয় ৷ আজ বেলা বাড়তে ঝোড়ো হাওয়া ঝড়ে পরিণত হয় ৷ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ও পূর্ণমার কোটালের কারণে, সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী মাটির নদী বাঁধগুলি উপচে পড়েছে ৷ ইতিমধ্যে বেশকিছু গ্রামে নদীর জল প্রবেশ করতে শুরু করেছে ৷
কোটালের কারণে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে জলের স্তর প্রায় পাঁচ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে, যার প্রভাব দেখা গিয়েছে মুড়িগঙ্গায় ৷ এর জেরে তীরবর্তী তিলকচন্দ্রপুর গ্রামকে খালি করে দেওয়া হয়েছে ৷ আজ সকাল থেকে পুলিশ প্রশাসনের তরফে মাইকিং শুরু হয় ৷ দুপুর থেকে গ্রামবাসীদের একে একে ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যায় হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ ৷ উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তিলকচন্দ্রপুর এলাকার মৎস্যজীবী পরিবারগুলি ৷ তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে গ্রামবাসীদের সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন ৷
- আরও পড়ুন: প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ল্য়ান্ডফলের আগে সাগরের পরিস্থিতি ইটিভি ভারতের ক্যামেরায়
দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা ক্ষেত্রে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির ৷ সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকায় যে সকল স্কুল রয়েছে, সেগুলিতেও এলাকার মানুষজনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ৷ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে ৷ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান হয়েছে জেলাশাসকের দফতর থেকে ৷ উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মংলা, খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷