দুর্গাপুর, 20 এপ্রিল: 'সর্বনেশে গ্রীষ্ম এসে বর্ষশেষে রুদ্ররূপে, আপন ঝোঁকে বিষম রেখে আগুন ফোঁকে ধরার চোখে ।' সুকুমার রায়ের কবিতার সঙ্গে একদম মিলে যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতি । দুর্গাপুরে তাপমাত্রা 42 ডিগ্রির পারদ ছুঁয়েছে ৷ এই অবস্থায় পশুপাখিদের শরীর সতেজ ও সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে বন বিভাগের কাছে ৷ তার জন্য কাঁকসার জঙ্গলে বসবাসকারী পশুপাখিদের ওআরএস মেশানো জল খেতে দেওয়া হচ্ছে ৷ সেই জল খেয়ে তৃপ্তি মেটাচ্ছে হরিণ থেকে ময়ূর ৷
দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বনাধিকারিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে সংরক্ষিত রিজার্ভের ভেতর হরিণদের খাওয়ানো হচ্ছে ওআরএস । দুপুরে দেওয়া হচ্ছে শাক, সবজি তরমুজ । বনদফতরের চিকিৎসকরাও দিনে অন্তত একবার করে হরিণদের দেখভাল করছেন । জঙ্গলের ভেতর ডাল, পাতার ছাউনি করে শীতল জায়গা তৈরি করা হয়েছে । বনদফতরের সংরক্ষিত জায়গা ছাড়াও গোটা জঙ্গলেই বেশ কয়েকটি জায়গায় জলের সঙ্গে ওআরএস মিশিয়ে রাখা হচ্ছে । সেই ওআরএস মেশানো জল খাচ্ছে ময়ূর থেকে বহু পাখি ।"
তাপপ্রবাহের মধ্যে দুপুরের সময় কার্যত গৃহবন্দি আমজনতা । চিড়িয়াখানায় পর্যটকদেরও দেখা নেই । পশুপাখিরাও গভীর জঙ্গলের ভেতর শীতল জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। জঙ্গলের জলাশয়গুলিতেও ভিড় জমাচ্ছে তারা। কাঁকসার দেউলের সংরক্ষিত রিজার্ভের ভেতর রয়েছে প্রায় 100টি হরিণ, 500-এর অধিক ময়ূর, একাধিক নীল গাই, সজারু এবং বহু বিরল প্রাণী । বছরের অন্যান্য সময় সারাদিনই দেখা মেলে ওদের । পশুপাখিদের দেখা পেয়ে আনন্দ উপভোগ করেন দূর দূরান্তের পর্যটকরাও । এখন সূর্যের অস্ত গেলে হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটকের দেখা মিলছে এখানে ৷ এই গরমের মধ্যে বন্য জীবজন্তুরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেইজন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে বর্ধমান বনবিভাগের দুর্গাপুর বনাঞ্চল ।
আরও পড়ুন: