কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: নির্দেশ ছিল শুধু কাজের সময় সার্ভিস রিভলভার ব্যবহার করা যাবে। তবু অফ ডিউটিতেই সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পুলিশকর্মী ৷ তবে কি নগরপালের নির্দেশ পালন করছেন না কলকাতা পুলিশের কর্মীরা? মঙ্গলবারের ঘটনার পর এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে খোদ লালবাজারের অন্দরে ৷
বিগত কয়েকমাসে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মী সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ৷ তারপরই নগরপাল বিনীত গোয়েল নির্দেশ দিয়েছিলেন, কাজের সময়ের বাইরে কোনও কর্মী আর সার্ভিস রিভলবার ব্যবহার করতে পারবেন না ৷ সেই নির্দেশের কয়েকদিনের মধ্যেই গত মঙ্গলবার বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার একটি আবাসনে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ৷
তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে পুলক ব্যাপারী নামে ওই কনস্টেবল আত্মঘাতী হওয়ার সময় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না ৷ আর এখানেই নগরপালের নির্দেশ না মানার অভিযোগ উঠেছে। নগরপাল নিজেই বলে দিয়েছিলেন, ডিউটিতে না থাকলে সার্ভিস রিভলভার ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে ডিউটিতে না থেকেও পুলক রিভলভার পেলেন কোথা থেকে? ইতিমধ্যেই ওয়ারলেস ব্রাঞ্চের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে ।
লালবাজারের এক আধিকারিক বলেন, "এখনও পর্যন্ত পরিবারে তরফ থেকে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি । কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকে একটি তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে । কোনও পুলিশকর্মী ওই কনস্টেবলকে সার্ভিস রিভলবার দিয়েছে কি না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে ।"
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীর নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ৷ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে ৷ প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বেহালার পর্ণশ্রী থানার অন্তর্গত গোপালপুরের একটি আবাসনে কলকাতা পুলিশের ওয়ারলেস ব্রাঞ্চের কনস্টেবল পুলক ব্যাপারীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় । দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর সার্ভিস রিভলবার । লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই কনস্টেবল ৷ পাশাপাশি, বাজারে তাঁর প্রচুর ধারও ছিল বলে জানা গিয়েছে।