কলকাতা, 30 মার্চ: জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ড' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে শনিবার বিজেপি'কে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তিনি । এদিনের সভা থেকে তিনি কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে জানান, আগামী 5 বছর বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দিলে 42টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী প্রত্যাহার করা হবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। এরপরই কংগ্রেস-বামেদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়কে ৷ তাদের বক্তব্য, তৃণমূল বিজেপির মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। মিথ্যের ফুলঝুরি ওড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি বলছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক প্রতারক ।
এই প্রসঙ্গেই সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে মিথ্যার ফুলঝুরি এবং দর কষাকষি মানুষ বুঝতে পেরেছে ৷ ফলে, ওদের কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে হয় না। সারা বছর ধরে মদের ব্যবসা করে টাকা কামাচ্ছে। কয়লা, বালি চুরি করে দুর্নীতি করছে। এই সমস্ত চক্র আড়াল করে ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত থেকে নিজেকে বাঁচতে বিজেপির শরণাপন্ন হচ্ছে । এই জন্য রাজ্যে আরএসএস-বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ।"
শুধু সিপিএম নয় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুমন রায় চৌধুরী ৷ তাঁর কথায়, "তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পিসিমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি কোনও বিষয়ে আঙুল তোলার কোনও যোগ্যতা রাখেন না । কারণ তাঁরা শুধুমাত্র দুর্নীতি করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন । তারা দুর্নীতি করে বাংলাকে ও বাংলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেষ করেছেন। তবে তাদের সঙ্গে আমি একটা বিষয়ে একমত যে, নরেন্দ্র মোদি এবং তার বিজেপি সরকার মিথ্যা কথা বলে। এই দুই রাজনৈতিক দল 'মকফাইট' করে বাংলার মানুষকে বিব্রত করে দিতে চাইছেন ।"
কংগ্রেস এবং সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষানবিশ রাজনীতিবিদ। নতুবা তিনি ধূর্ত ও রাজনৈতিক প্রতারক। কারণ, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর কোনও সরকার এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিতে পারে না। সব জেনেও এই ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক প্রতারণাকে স্পষ্ট করে । অন্যথা, তিনি এখনও রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণার বিষয়ে স্পষ্ট নন।"
আরও পড়ুন: