কলকাতা, 14 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডের আঁচ পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৷ চিকিৎসক-ছাত্রীর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে আজ সকাল 8টা থেকে 4টে পর্যন্ত আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রেখেছে ডাক্তারদের জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম । যদিও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে। এমনকি, বহির্বিভাগে আগত রোগীদের অবস্থা গুরুতর হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে । প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দেওয়া হচ্ছে। কারওকে এক সপ্তাহ, কারওকে দু'সপ্তাহ পরে আসতে বলা হচ্ছে । যার জেরেই বিপাকে পড়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা । দূর দূরান্ত থেকে রোগীরা এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন ৷
অধিকাংশ রোগীর আত্মীয়দের বক্তব্য, "যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক । ইতিমধ্যে প্রশাসনিক স্তরে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত । তাহলে এখনও কেন চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে ? প্রশাসনিক গাফিলতির দায় কেন সাধারণ মানুষের উপরে চাপানো হচ্ছে ?" এই প্রশ্ন তুলছেন কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিজনরা।
গতকাল রাতেই ওপিডি বন্ধের ডাক দেওয়া হয় আন্দোলনকারী ডাক্তারদের জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের তরফে । তবে অসুস্থতা নিয়ে শহরের একাধিক হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা গ্রহণে আসছেন মানুষজন । কেউ ভোরবেলা বেরিয়েছেন, কেউ দূর-দূরান্ত থেকে গাড়ি করে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন । কিন্তু, চিকিৎসা পরিষেবা পাবে না জেনেই ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন সবাই । তবে আরজি কর হাসপাতালে রোগীর ভিড় কিছুটা কম ৷
প্রসঙ্গত, আরজি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের জন্য রবিবার পর্যন্ত রাজ্য পুলিশকে সময় দিলেও, তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই ৷