সন্দেশখালি, 9 এপ্রিল: এবার সন্দেশখালিতে আক্রান্ত পুলিশ ৷ পুলিশ ক্যাম্পে ঢুকে পুলিশ কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ৷ দুষ্কৃতীদের সেই রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক পুলিশ কর্মী ৷ সোমবার গভীর রাতের এই ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে । বিশেষত স্থানীয় বাসিন্দারাও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কারণে এই দুষ্কৃতীরা হামলা চালাল ! যদিও ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শীতুলিয়া বাজারে রয়েছে শীতুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িটি ৷ একটি ফ্লাড সেন্টার নিয়ে চলছিল পুলিশ ফাঁড়িটি ৷ সেখানেই আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে ঢুকে পড়ে সোমবার রাত একটা নাগাদ ৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারধর শুরু করে পুলিশ কর্মীদের ৷
এক পুলিশকর্মীকে লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় সন্দীপ সাহা নামে ওই কনস্টেবলকে প্রথমে সন্দেশখালির খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ৷ সেই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, রডের আঘাতে ওই পুলিশ কনস্টেবলের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে ৷ সেই রক্ত বের করতে তাঁর অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন ৷ সেই কারণে আহত পুলিশ কর্মীর অস্ত্রোপচার করা হতে পারে আজ ৷ তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে বলেই খবর হাসপাতাল সূত্র মারফত ৷
এদিকে, গত 5 জানুয়ারি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, ইডি-র উপর হামলার ঘটনার পর সন্দেশখালিতে যখন অশান্তি চলছিল তখনও শীতলিয়া এলাকা ঠান্ডা ছিল বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে ৷ বাসিন্দারাও বলছেন ইদানীংকালে কোনও গোলমালের ঘটনাও সেখানে শোনা যায়নি ৷ তাহলে কী এমন হল যে, গভীর রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চালানো হল ? যে হামলায় আক্রান্ত হলেন এক পুলিশ কর্মী ? নেপথ্যে কী অন্য কোনও রহস্য রয়েছে ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: