হরাল (হুগলি), 11 জুন: হুগলি লোকসভায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পরই প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে প্রধান ও তৃণমূল যুব সভাপতির বাড়ি এবং পার্টি অফিস ভাঙচুর চালাল অপর এক গোষ্ঠী। অভিযোগ, সোমবার রাতের অন্ধকারে হরাল দাসপুর অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান ও তাঁর দলবল এসে শাসকদলের একাধিক কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও মারধর করে। এই ঘটনায় দু'জনকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত হরাল দাসপুর অঞ্চলের যুব তৃণমূলের সভাপতি আসিক মল্লিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান হাসিনুর রহমানের ঘনিষ্ঠ শেখ রুস্তমকে পুলিশ হেফাজতেও নিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন রাতে এলাকায় গণ্ডগোল করছিল। হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, "গতকাল রাতে মারধর এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। অভিযোগও জানানো হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কাউকেই সমর্থন করা হচ্ছে না। পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেবে।" যদিও মূল অভিযুক্ত তথা প্রাক্তন উপপ্রধান হাসিনুর রহমানের পালটা দাবি, আমাদের সঙ্গে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। বর্তমান প্রধান ও যুব সভাপতি মিথ্যা অভিযোগ করছে। পঞ্চায়েত এভাবে দখল করা যায় না। দলকে আমরা জানিয়েছি। দল যা ভালো বুঝবে তাই করবে।
হরাল দাসপুরের পঞ্চায়েত প্রধান করুণা ক্ষেত্রপাল বলেন, "আমাকে ও আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ প্রধান পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। হাসিনুর ও রাজা সরকার মদতে 50টি বাইক নিয়ে হামলা চালানো হয়। বাড়ির চাল ও দরজা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা স্বচ্ছভাবে পঞ্চায়েত চালাচ্ছি।" আহত হরাল দাসপুর অঞ্চলের যুব সভাপতি আশিক মল্লিক বলেন, "আমাকে ও আমার বাবাকে ব্যাপক মারধর করে অঞ্চল সভাপতি রাজা সরকার ও হাসিনুর। ওরা দুর্নীতি করতে পারছে না বলেই আক্রমণ চালাচ্ছে । পুলিশ ব্যবস্থা নিক ৷"