ETV Bharat / state

ধর্ষক ভাইপোকে ধরতে গিয়ে জেঠুকে পিটিয়ে মারার দৃশ্য দেখল পুলিশ ! - Malda Police

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 22, 2024, 11:07 PM IST

Man Lynched in Died Malda: ধর্ষণে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে বৃদ্ধ জেঠুকে চোখের সামনে পিটিয়ে মারার দৃশ্য দেখল পুলিশ ৷ তবে যে সময় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত পুরো রাজ্যে, সেই সময় মানিকচক থানার পুলিশের এহেন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জেলায় ৷

Man Lynched in Died Malda
মানিকচক থানা (ইটিভি ভারত)

মালদা, 22 অগস্ট: স্থানীয় থানায় পাশের বাড়ির এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক যুবতী ৷ অভিযোগ পেয়েই গভীর রাতে ওই যুবককে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ ৷ সেই সময় ভাইপোকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন 65 বছরের জেঠু ৷ অভিযোগ, পুলিশের সামনে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে ওই যুবতীর পরিবারের লোকজন ৷

পুলিশ সেই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না-করে অভিযুক্ত যুবককে গাড়িতে তুলে গ্রাম ছেড়ে চলে যায় ৷ শুধু তাই নয়, খবর পেয়েও পুলিশকর্মীরা ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করেনি ৷ উলটে পরিবারের লোককে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে দেহ নিয়ে আসার নির্দেশ দেয় ৷ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে সেই দেহ অবশেষে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়৷ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার একটি গ্রামে ৷

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মাস দুয়েক আগে পাশের বাড়ির এক যুবতীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এক যুবক ৷ দু'মাস গ্রামের বাইরে যুবতীকে নিয়ে থাকত সে ৷ একাধিকবার ওই যুবতীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেন তিনি ৷ অবশেষে শনিবার রাতে সে যুবতীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে ৷ সেই রাতেই নিজের বাড়িতে চলে যান ওই যুবতী ৷ সমস্ত ঘটনা পরিবারের লোকজনকে খুলে বলেন ৷ মঙ্গলবার ওই যুবতী সমস্ত ঘটনা জানিয়ে মানিকচক থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷

যুবতীর অভিযোগ পেয়েই গতকাল গভীর রাতে ওই যুবকের বাড়িতে হানা দেয় মানিকচক থানার পুলিশ ৷ সেই সময় ভাইপোকে গ্রেফতারিতে বাধা দেন ওই বৃদ্ধ ৷ তা দেখে যুবতীর পরিবারের লোকজন পুলিশের সামনেই তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ৷ বৃদ্ধের পরিবারের অভিযোগ, চোখের সামনে এত কিছু হলেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শক ৷ তারা ওই যুবককে ধরে নিয়ে চলে যায় ৷ পরে ফোনে বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর থানায় জানান পরিবারের লোকজন ৷ কিন্তু তারপর 18 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ দেহ উদ্ধারে গ্রামে আসেনি ৷

শেষ পর্যন্ত মানিকচক থানা থেকে বলা হয়, মৃতদেহ যেন মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ পরিবারের লোকজন মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিশ তখন দায়িত্ব নেয় ৷ পুরো ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মানিকচক থানার পুলিশ ৷ বারবার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব ৷ যদিও মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তবে যে সময় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত পুরো রাজ্যে, সেই সময় মানিকচক থানার পুলিশের এহেন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জেলায় ৷

মালদা, 22 অগস্ট: স্থানীয় থানায় পাশের বাড়ির এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক যুবতী ৷ অভিযোগ পেয়েই গভীর রাতে ওই যুবককে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ ৷ সেই সময় ভাইপোকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন 65 বছরের জেঠু ৷ অভিযোগ, পুলিশের সামনে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে ওই যুবতীর পরিবারের লোকজন ৷

পুলিশ সেই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না-করে অভিযুক্ত যুবককে গাড়িতে তুলে গ্রাম ছেড়ে চলে যায় ৷ শুধু তাই নয়, খবর পেয়েও পুলিশকর্মীরা ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করেনি ৷ উলটে পরিবারের লোককে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে দেহ নিয়ে আসার নির্দেশ দেয় ৷ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে সেই দেহ অবশেষে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়৷ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার একটি গ্রামে ৷

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মাস দুয়েক আগে পাশের বাড়ির এক যুবতীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এক যুবক ৷ দু'মাস গ্রামের বাইরে যুবতীকে নিয়ে থাকত সে ৷ একাধিকবার ওই যুবতীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেন তিনি ৷ অবশেষে শনিবার রাতে সে যুবতীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে ৷ সেই রাতেই নিজের বাড়িতে চলে যান ওই যুবতী ৷ সমস্ত ঘটনা পরিবারের লোকজনকে খুলে বলেন ৷ মঙ্গলবার ওই যুবতী সমস্ত ঘটনা জানিয়ে মানিকচক থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷

যুবতীর অভিযোগ পেয়েই গতকাল গভীর রাতে ওই যুবকের বাড়িতে হানা দেয় মানিকচক থানার পুলিশ ৷ সেই সময় ভাইপোকে গ্রেফতারিতে বাধা দেন ওই বৃদ্ধ ৷ তা দেখে যুবতীর পরিবারের লোকজন পুলিশের সামনেই তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ৷ বৃদ্ধের পরিবারের অভিযোগ, চোখের সামনে এত কিছু হলেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শক ৷ তারা ওই যুবককে ধরে নিয়ে চলে যায় ৷ পরে ফোনে বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর থানায় জানান পরিবারের লোকজন ৷ কিন্তু তারপর 18 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ দেহ উদ্ধারে গ্রামে আসেনি ৷

শেষ পর্যন্ত মানিকচক থানা থেকে বলা হয়, মৃতদেহ যেন মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ পরিবারের লোকজন মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিশ তখন দায়িত্ব নেয় ৷ পুরো ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মানিকচক থানার পুলিশ ৷ বারবার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব ৷ যদিও মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তবে যে সময় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত পুরো রাজ্যে, সেই সময় মানিকচক থানার পুলিশের এহেন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জেলায় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.