ETV Bharat / state

সম্পত্তির লোভে বাবা-মাকে খুনের অভিযোগ ! বিষাদের সুর দুর্গাপুরে

সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধ বাবা-মাকে খুনের অভিযোগ ৷ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 12 hours ago

DURGAPUR MYSTERIOUS DEATH
সম্পত্তির লোভে বাবা মাকে খুনের অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)

দুর্গাপুর, 13 অক্টোবর: বাড়ির শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধ বাবা ও মায়ের দেহ ৷ কাঁন্নায় ভেঙে পড়েছে ছেলে ও বৌমা ৷ খবর পেয়েই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা ৷ এরপরই বদলে গেল পরিস্থিতি।

স্থানীয়দের দাবি বৃদ্ধ বাবা-মাকে খুন করেছেন ছেলে ও বৌমাই। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভও ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা এলাকায় ৷ বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বৌমা অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করা হয়েছে ৷

বিষাদের সুর দুর্গাপুরে (ইটিভি ভারত)

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের নাম নির্মলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (86) এবং নাম ইলা বন্দ্যোপাধ্যায় (84 ) ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্পত্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার করতেন ছেলে ও বৌমা ৷ প্রতিবেশী রুমা দেবনাথ বলেন, "মেয়ের কাছে যেতে দিত না বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে । মেয়ের কাছে গেলেই আত্মহত্যা করার ভয় দেখাতো ছেলে ও তাঁরা বৌ । সেই ভয়ে যেতেও পারতেন না এই বৃদ্ধ দম্পতি। শেষমেশ সব সম্পত্তি হাতিয়ে দশমীর রাতে খুন করে দিল । আমরা কঠোর শাস্তির দাবি করছি ।"

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠান তাঁরা ৷ এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বৃদ্ধ দম্পতির মেয়ে চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনিও বাবা-মায়ের মৃত্যুর জন্য দাদা-বৌদিকেই কাঠগোড়ায় তুলেছেন ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি ৷ রবিবার সকালে বাড়ির সামনে দাদা-বৌদির গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তিনি ৷

চৈতালির অভিযোগ, "মা-বাবাকে প্রতিদিন মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করত দাদা ও বৌদি । সম্পত্তি হাতানর পরিকল্পনা তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই করেছিল। সম্পত্তি হাতিয়েও নিয়েছিলেন । তারপরও নির্মমভাবে খুন করে দিল । আমি কঠোর শাস্তি চাইছি ৷" ইতিমধ্যেই, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ দশমীতে একদিকে যখন মা উমার বিদায়ে চারিদিকে বিদায়ের সুর ৷ ঠিক তখন বৃদ্ধ দম্পতির এই রহস্য মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায় ।

আরও পড়ুন:

ঠাকুর দেখে দেরি করে বাড়ি ফেরায় বকা, মাকে আহত করে আত্মঘাতী যুবতী !

ঋণ পরিশোধ নিয়ে অশান্তির জেরে মাকে খুন ছেলের ! আহত আরও 4

দুর্গাপুর, 13 অক্টোবর: বাড়ির শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধ বাবা ও মায়ের দেহ ৷ কাঁন্নায় ভেঙে পড়েছে ছেলে ও বৌমা ৷ খবর পেয়েই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা ৷ এরপরই বদলে গেল পরিস্থিতি।

স্থানীয়দের দাবি বৃদ্ধ বাবা-মাকে খুন করেছেন ছেলে ও বৌমাই। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভও ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা এলাকায় ৷ বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বৌমা অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করা হয়েছে ৷

বিষাদের সুর দুর্গাপুরে (ইটিভি ভারত)

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের নাম নির্মলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (86) এবং নাম ইলা বন্দ্যোপাধ্যায় (84 ) ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্পত্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার করতেন ছেলে ও বৌমা ৷ প্রতিবেশী রুমা দেবনাথ বলেন, "মেয়ের কাছে যেতে দিত না বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে । মেয়ের কাছে গেলেই আত্মহত্যা করার ভয় দেখাতো ছেলে ও তাঁরা বৌ । সেই ভয়ে যেতেও পারতেন না এই বৃদ্ধ দম্পতি। শেষমেশ সব সম্পত্তি হাতিয়ে দশমীর রাতে খুন করে দিল । আমরা কঠোর শাস্তির দাবি করছি ।"

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠান তাঁরা ৷ এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বৃদ্ধ দম্পতির মেয়ে চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনিও বাবা-মায়ের মৃত্যুর জন্য দাদা-বৌদিকেই কাঠগোড়ায় তুলেছেন ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি ৷ রবিবার সকালে বাড়ির সামনে দাদা-বৌদির গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তিনি ৷

চৈতালির অভিযোগ, "মা-বাবাকে প্রতিদিন মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করত দাদা ও বৌদি । সম্পত্তি হাতানর পরিকল্পনা তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই করেছিল। সম্পত্তি হাতিয়েও নিয়েছিলেন । তারপরও নির্মমভাবে খুন করে দিল । আমি কঠোর শাস্তি চাইছি ৷" ইতিমধ্যেই, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ দশমীতে একদিকে যখন মা উমার বিদায়ে চারিদিকে বিদায়ের সুর ৷ ঠিক তখন বৃদ্ধ দম্পতির এই রহস্য মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায় ।

আরও পড়ুন:

ঠাকুর দেখে দেরি করে বাড়ি ফেরায় বকা, মাকে আহত করে আত্মঘাতী যুবতী !

ঋণ পরিশোধ নিয়ে অশান্তির জেরে মাকে খুন ছেলের ! আহত আরও 4

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.