ETV Bharat / state

রবীন্দ্রনাথের থেকে তোলাবাজি, ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

1 লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন কীর্ণাহার থানার ওসি ৷ ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি ৷ এবার ওসির বিরুদ্ধে শুরু হল তদন্ত ৷

Kirnahar Police Station
বোলপুরে ওসি’র বিরুদ্ধে শুরু তদন্ত (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

কীর্ণাহার, 27 অক্টোবর: ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে কীর্ণাহার থানার ওসির নামে তোলাবাজির অভিযোগ। তড়িঘড়ি বোলপুরের এসডিপিও’র নেতৃত্বে শুরু তদন্ত ৷ অভিযোগ, বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে 1 লক্ষ টাকা চান ওই ওসি ।

সেই টাকা দিতে না-পারায় 24 ঘণ্টা তাঁকে লক-আপে আটকে রাখা হয় ৷ ‘দিদিকে বলো’ ট্রোল ফ্রি নম্বরে এমনই অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোহ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুল।

তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। 144 ধারা ভঙ্গ করেছিলেন বলে ডেকেছিলাম ৷ পুলিশ তুলে নিয়ে এসেছে বলে ওঁর গায়ে লেগেছে । তাই এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন । তবে যেহেতু অভিযোগ করেছে তাই তদন্ত হচ্ছে ।’’

বীরভূমের কীর্ণাহার থানার মিরাটী গ্রামের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রতিবেশীর সঙ্গে বাড়ি তৈরির জন্য বিবাদ হয় তাঁর ৷ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় ৷ বোলপুর মহকুমা আদালত মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেয় ৷ পরবর্তীতে প্রতিবেশীর সঙ্গে মিমাংসা করে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ।

অভিযোগ, এরপরেই কীর্ণাহার থানার ওসি তাঁকে ডেকে পাঠান। 1 লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয় । এমনকী তাঁকে মারধর করা হয় ৷ স্বামীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে লক-আপে আটকে রাখায় ‘দিদিকে বলো’র ট্রোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ ৷ জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে বিষয়টি দেখার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷

দিদিকে বলো’তে পুলিশের তোলাবাজির অভিযোগ করতেই নড়েচড়ে বসে বীরভূম পুলিশ ৷ বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের নেতৃত্বে কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ৷ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও সুমিত্রা ঘোষকে নিজের দফতরে ডেকে বিষয়টি জানেন এসডিপিও ।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "ওসি 1 লক্ষ টাকা চাইলে আমি বলি এত টাকা দিতে পারব না ৷ তখন বড়বাবু 50 হাজার টাকা দিতে বলেন ৷ সেটাও দিতে পারব না বলি ৷ তখন 20 হাজার টাকায় রফা হয় ৷ তারমধ্যে 10 হাজার টাকা দিয়েছি ৷ বাকি টাকা দিতে পারিনি ৷ তাই আমাকে তুলে নিয়ে এসে সারারাত লকআপে রাখেন ৷ মারধর করে ৷ আমার স্ত্রী দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছেন ।"

স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করছিল । সারারাত আটকে রেখেছিল ৷ কোনও উপায় না-দেখে আমি দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ করেছি ৷ আমি চাই দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) বিষয়টি দেখুন । সমাধান করে দিন ।’’

আরও পড়ুন:

কীর্ণাহার, 27 অক্টোবর: ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে কীর্ণাহার থানার ওসির নামে তোলাবাজির অভিযোগ। তড়িঘড়ি বোলপুরের এসডিপিও’র নেতৃত্বে শুরু তদন্ত ৷ অভিযোগ, বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে 1 লক্ষ টাকা চান ওই ওসি ।

সেই টাকা দিতে না-পারায় 24 ঘণ্টা তাঁকে লক-আপে আটকে রাখা হয় ৷ ‘দিদিকে বলো’ ট্রোল ফ্রি নম্বরে এমনই অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোহ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুল।

তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। 144 ধারা ভঙ্গ করেছিলেন বলে ডেকেছিলাম ৷ পুলিশ তুলে নিয়ে এসেছে বলে ওঁর গায়ে লেগেছে । তাই এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন । তবে যেহেতু অভিযোগ করেছে তাই তদন্ত হচ্ছে ।’’

বীরভূমের কীর্ণাহার থানার মিরাটী গ্রামের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রতিবেশীর সঙ্গে বাড়ি তৈরির জন্য বিবাদ হয় তাঁর ৷ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় ৷ বোলপুর মহকুমা আদালত মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেয় ৷ পরবর্তীতে প্রতিবেশীর সঙ্গে মিমাংসা করে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ।

অভিযোগ, এরপরেই কীর্ণাহার থানার ওসি তাঁকে ডেকে পাঠান। 1 লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয় । এমনকী তাঁকে মারধর করা হয় ৷ স্বামীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে লক-আপে আটকে রাখায় ‘দিদিকে বলো’র ট্রোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ ৷ জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে বিষয়টি দেখার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷

দিদিকে বলো’তে পুলিশের তোলাবাজির অভিযোগ করতেই নড়েচড়ে বসে বীরভূম পুলিশ ৷ বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের নেতৃত্বে কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ৷ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও সুমিত্রা ঘোষকে নিজের দফতরে ডেকে বিষয়টি জানেন এসডিপিও ।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "ওসি 1 লক্ষ টাকা চাইলে আমি বলি এত টাকা দিতে পারব না ৷ তখন বড়বাবু 50 হাজার টাকা দিতে বলেন ৷ সেটাও দিতে পারব না বলি ৷ তখন 20 হাজার টাকায় রফা হয় ৷ তারমধ্যে 10 হাজার টাকা দিয়েছি ৷ বাকি টাকা দিতে পারিনি ৷ তাই আমাকে তুলে নিয়ে এসে সারারাত লকআপে রাখেন ৷ মারধর করে ৷ আমার স্ত্রী দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছেন ।"

স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করছিল । সারারাত আটকে রেখেছিল ৷ কোনও উপায় না-দেখে আমি দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ করেছি ৷ আমি চাই দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) বিষয়টি দেখুন । সমাধান করে দিন ।’’

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.