ETV Bharat / state

রবীন্দ্রনাথের থেকে তোলাবাজি, ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে - POLICE DEMANDS BRIBE

1 লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন কীর্ণাহার থানার ওসি ৷ ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি ৷ এবার ওসির বিরুদ্ধে শুরু হল তদন্ত ৷

Kirnahar Police Station
বোলপুরে ওসি’র বিরুদ্ধে শুরু তদন্ত (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 27, 2024, 4:44 PM IST

Updated : Oct 27, 2024, 7:51 PM IST

কীর্ণাহার, 27 অক্টোবর: ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে কীর্ণাহার থানার ওসির নামে তোলাবাজির অভিযোগ। তড়িঘড়ি বোলপুরের এসডিপিও’র নেতৃত্বে শুরু তদন্ত ৷ অভিযোগ, বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে 1 লক্ষ টাকা চান ওই ওসি ।

সেই টাকা দিতে না-পারায় 24 ঘণ্টা তাঁকে লক-আপে আটকে রাখা হয় ৷ ‘দিদিকে বলো’ ট্রোল ফ্রি নম্বরে এমনই অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোহ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুল।

‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে (ইটিভি ভারত)

তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। 144 ধারা ভঙ্গ করেছিলেন বলে ডেকেছিলাম ৷ পুলিশ তুলে নিয়ে এসেছে বলে ওঁর গায়ে লেগেছে । তাই এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন । তবে যেহেতু অভিযোগ করেছে তাই তদন্ত হচ্ছে ।’’

বীরভূমের কীর্ণাহার থানার মিরাটী গ্রামের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রতিবেশীর সঙ্গে বাড়ি তৈরির জন্য বিবাদ হয় তাঁর ৷ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় ৷ বোলপুর মহকুমা আদালত মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেয় ৷ পরবর্তীতে প্রতিবেশীর সঙ্গে মিমাংসা করে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ।

অভিযোগ, এরপরেই কীর্ণাহার থানার ওসি তাঁকে ডেকে পাঠান। 1 লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয় । এমনকী তাঁকে মারধর করা হয় ৷ স্বামীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে লক-আপে আটকে রাখায় ‘দিদিকে বলো’র ট্রোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ ৷ জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে বিষয়টি দেখার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷

দিদিকে বলো’তে পুলিশের তোলাবাজির অভিযোগ করতেই নড়েচড়ে বসে বীরভূম পুলিশ ৷ বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের নেতৃত্বে কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ৷ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও সুমিত্রা ঘোষকে নিজের দফতরে ডেকে বিষয়টি জানেন এসডিপিও ।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "ওসি 1 লক্ষ টাকা চাইলে আমি বলি এত টাকা দিতে পারব না ৷ তখন বড়বাবু 50 হাজার টাকা দিতে বলেন ৷ সেটাও দিতে পারব না বলি ৷ তখন 20 হাজার টাকায় রফা হয় ৷ তারমধ্যে 10 হাজার টাকা দিয়েছি ৷ বাকি টাকা দিতে পারিনি ৷ তাই আমাকে তুলে নিয়ে এসে সারারাত লকআপে রাখেন ৷ মারধর করে ৷ আমার স্ত্রী দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছেন ।"

স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করছিল । সারারাত আটকে রেখেছিল ৷ কোনও উপায় না-দেখে আমি দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ করেছি ৷ আমি চাই দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) বিষয়টি দেখুন । সমাধান করে দিন ।’’

আরও পড়ুন:

কীর্ণাহার, 27 অক্টোবর: ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে কীর্ণাহার থানার ওসির নামে তোলাবাজির অভিযোগ। তড়িঘড়ি বোলপুরের এসডিপিও’র নেতৃত্বে শুরু তদন্ত ৷ অভিযোগ, বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে 1 লক্ষ টাকা চান ওই ওসি ।

সেই টাকা দিতে না-পারায় 24 ঘণ্টা তাঁকে লক-আপে আটকে রাখা হয় ৷ ‘দিদিকে বলো’ ট্রোল ফ্রি নম্বরে এমনই অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোহ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুল।

‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে (ইটিভি ভারত)

তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। 144 ধারা ভঙ্গ করেছিলেন বলে ডেকেছিলাম ৷ পুলিশ তুলে নিয়ে এসেছে বলে ওঁর গায়ে লেগেছে । তাই এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন । তবে যেহেতু অভিযোগ করেছে তাই তদন্ত হচ্ছে ।’’

বীরভূমের কীর্ণাহার থানার মিরাটী গ্রামের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রতিবেশীর সঙ্গে বাড়ি তৈরির জন্য বিবাদ হয় তাঁর ৷ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় ৷ বোলপুর মহকুমা আদালত মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেয় ৷ পরবর্তীতে প্রতিবেশীর সঙ্গে মিমাংসা করে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ।

অভিযোগ, এরপরেই কীর্ণাহার থানার ওসি তাঁকে ডেকে পাঠান। 1 লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয় । এমনকী তাঁকে মারধর করা হয় ৷ স্বামীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে লক-আপে আটকে রাখায় ‘দিদিকে বলো’র ট্রোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ ৷ জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে বিষয়টি দেখার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷

দিদিকে বলো’তে পুলিশের তোলাবাজির অভিযোগ করতেই নড়েচড়ে বসে বীরভূম পুলিশ ৷ বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের নেতৃত্বে কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ৷ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও সুমিত্রা ঘোষকে নিজের দফতরে ডেকে বিষয়টি জানেন এসডিপিও ।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "ওসি 1 লক্ষ টাকা চাইলে আমি বলি এত টাকা দিতে পারব না ৷ তখন বড়বাবু 50 হাজার টাকা দিতে বলেন ৷ সেটাও দিতে পারব না বলি ৷ তখন 20 হাজার টাকায় রফা হয় ৷ তারমধ্যে 10 হাজার টাকা দিয়েছি ৷ বাকি টাকা দিতে পারিনি ৷ তাই আমাকে তুলে নিয়ে এসে সারারাত লকআপে রাখেন ৷ মারধর করে ৷ আমার স্ত্রী দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছেন ।"

স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করছিল । সারারাত আটকে রেখেছিল ৷ কোনও উপায় না-দেখে আমি দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ করেছি ৷ আমি চাই দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) বিষয়টি দেখুন । সমাধান করে দিন ।’’

আরও পড়ুন:

Last Updated : Oct 27, 2024, 7:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.