কলকাতা, 10 মে: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্তে নেমে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ ৷ রাজভবনের ওসির কাছে ওই ফুটেজ চাওয়া হয় ৷ অবশেষে সেই ফুটেজ হাতে পেল এই অভিযোগের তদন্তের জন্য তৈরি হওয়া কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ৷ রাজভবনের ওসি-র তরফেই এই ফুটেজ তুলে দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের ওই বিশেষ তদন্তকারী দলের কাছে ৷ সূত্রের খবর, রাজভবনের তরফে বৃহস্পতিবার যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনা হয়, সেই ফুটেজ জমা পড়েনি ৷ তবে অন্য একটি ফুটেজ জমা পড়েছে ৷
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর দিকে এক মহিলা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন ৷ তিনি এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় ৷ তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশ তৈরি করে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট ৷ সেই সিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ।
রাজ্যপালের কাছে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায়, এই তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে ৷ যদিও লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও ব্যক্তি বিশেষের উপর এই তদন্ত নয় ৷ বরং এই তদন্ত হচ্ছে মূলত ঘটনাটি কী ঘটেছিল এবং তার সত্যতা জানার জন্য । আর তা ভালোভাবে স্পষ্ট করার জন্যই রাজভবনের অন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ লালবাজারে জমা দিতে বলা হয়েছিল । আর সেই মতোই ওসি রাজভবনের তরফ থেকে একটি সিসিটিভি ফুটে জমা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় থানায় ।
এই ফুটেজ কলকাতা পুলিশের হাতে আসার আগেই রাজভবনের তরফ থেকে একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হয় । প্রায় একঘণ্টার ওই ফুটেজ সেই দিনের, যে দিন শ্লীলতাহানি হয়েছিল বলে অভিযোগ ৷ যদিও যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন, তাঁর ফুটেজ কি এভাবে প্রকাশ্যে আনা যায় ? বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিযোগকারিণী ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি জানিয়েছিলেন যে বিনা অনুমতিতে তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ৷ এটি একটি অপরাধ।
এখন দেখার কলকাতা পুলিশের কাছে রাজভবনের অন্দরের অন্য কোন সিসিটিভি ফুটেজ জমা পড়েছে ? সেই ফুটেজের সঙ্গে রাজভবনের তরফে প্রকাশ্যে আনা ফুটেজের কী পার্থক্য রয়েছে ? আর এই ফুটেজ হাতে পাওয়ার পর কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় ?
আরও পড়ুন: