ETV Bharat / state

নভেম্বরে কলকাতায় মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত প্রায় 750, ঝিরঝিরে বৃষ্টি বাড়াচ্ছে চিন্তা - DENGUE MALARIA IN KOLKATA

কলকাতায় নভেম্বর মাসে মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 750 ৷ সংখ্যাটা গত বছরের তুলনায় অনেক কম হলেও ঝিরঝিরে বৃষ্টি বাড়াচ্ছে চিন্তা ৷

ETV BHARAT
শহরে কমেছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 1, 2024, 4:13 PM IST

কলকাতা, 1 ডিসেম্বর: কলকাতার মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় যথেষ্ট স্বস্তির । তবু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ফেরাচ্ছে আতঙ্কের পরিবেশ । কলকাতা পুরনিগমের তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর মহানগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে প্রায় 92 শতাংশ । ম্যালেরিয়া কমেছে প্রায় 42 শতাংশ । তবে একইসঙ্গে পুরনিগমের তথ্যেই উঠে এসেছে যে, নভেম্বর মাসে 3 তারিখ থেকে 24 তারিখ পর্যন্ত মাত্র 22 দিনেই শহরে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি 750। যদিও শহরে মশাবাহিত রোগে কোনও মৃত্যু হয়নি বলেই দাবি পুরনিগমের ৷

ডিসেম্বর মাস পড়ে গেলেও এখনও সেভাবে শীতের দেখা নেই । উলটে নিম্নচাপের জেরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি । আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্বাস্থ্যকর্তারা । ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া কম থাকলেও তাঁরা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন । তবে আবহাওয়া এমন খামখেয়ালি যে, তা মশার বংশ বিস্তারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অনুকূল, সেটাই বড় চিন্তার কারণ । এমন হালকা বৃষ্টিতে পড়ে থাকা পাত্র কিংবা খানাখন্দ, গাছের কুঠুরিতে জল জমে । আর সেখানেই মশা ডিম পাড়ে । লার্ভা বেড়ে মশা উৎপন্ন হয়, সেই মশাই আশপাশের মানুষজনকে কামড়ালে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া ছড়ায় । শনিবারের বৃষ্টিও সেই চিন্তাই বাড়িয়েছে ।

ETV BHARAT
মেয়র ফিরহাদ হাকিম (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা পুরনিগমের তথ্য বলছে, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কলকাতায় নভেম্বরের 3 তারিখ পর্যন্ত ছিল 5187। গত বছর এই সময়কালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 9303। এবছর 10 তারিখ পর্যন্ত সংখ্যাটা 5316 যা গত বছর একই সময়ে ছিল 9547। 17 তারিখ পর্যন্ত এই বছর 5521 জন আক্রান্ত হয়েছেন, গত বছর সেই সংখ্যা ছিল 9710। 24 তারিখ পর্যন্ত শহরে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা 5700, যা গত বছর এই তারিখ পর্যন্ত ছিল 9933 জন ।

একইভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা নভেমম্বরের 3 তারিখ পর্যন্ত ছিল 865 জন । গত বছর এই তারিখে শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 12,334 জন । 10 তারিখ পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত 936 জন, গত বছর এই সময়কালে সংখ্যাটা ছিল 13,086। 17 নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত 999 জন । গত বছর এই সময়ে সংখ্যাটা ছিল 13,563 জন । 24 নভেম্বর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 1,081 জন । যদিও গতবছর এই সংখ্যা ছিল 13,682 জন ।

কলকাতার দক্ষিণ অংশে প্রতিবারের মতো এবারেও বেশ কিছু জায়গায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে । এর মধ্যে 10 নম্বর বরো ও 12 নম্বর বরো রয়েছে । যাদবপুর, টালিগঞ্জ, কসবা, চেতনা, ভবানীপুর, রাসবিহারী, বাইপাস-সহ বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বেশি । প্রতিবারের মতো ম্যালেরিয়ার প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে কলকাতার উত্তর অংশে, 1, 4, 6, 7 নম্বর বরো অন্তর্ভুক্ত এলাকায় । অর্থাৎ কাশীপুর, বেলগাছিয়া, টালা, চিৎপুর, বাগবাজার, বড়বাজার, এমজি রোড, পাথুরিয়াঘাটা, চাঁদনী, মল্লিক বাজাজর, পার্ক সার্কাস, ধর্মতলা, কলেজ স্ট্রিট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ।

এখনও পর্যন্ত 10 নম্বর বরো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা 239 জন । 12 নম্বর বরো এলাকায় 192 জন আক্রান্ত ডেঙ্গিতে । কলকাতার বাকি বরোগুলোর তুলনায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত এই দুই বরো এলাকায় । একইভাবে, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে থাকা বরো হল 6 নম্বর বরো, যেখানে 637 জন এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ।

এই বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কলকাতায় তো সারাদেশ থেকে মানুষ আসেন চিকিৎসার জন্য । কোথা থেকে এই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া আসছে সেটা দেখতে হবে । কলকাতায় দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছি, তাই প্রতিরোধ আছে । কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রেক্ষিতে এই ডেঙ্গির বা মশার উপদ্রব একটু বাড়ছে । কলকাতায় সচেতনতা আছে বলে 92 শতাংশ কম হয়েছে এবছরে । আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এই মশার বৃদ্ধির কারণ । আচমকা নিম্নচাপ হচ্ছে এই সময়ে । বৃষ্টি হচ্ছে ৷ তার ফলে মশা বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ পাচ্ছে । আমাদের এখানকার পরিবেশ অনুকূল হচ্ছে মশার জন্য । এই কারণেই রোগ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া চলতি বছরে কম হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক স্বাগত মুখোপাধ্যায় বলেন, এ বছর সর্বত্রই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কম । কলকাতাতেও একইভাবে কমেছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ৷ তবে এই কমটা বেশ চোখে পড়ার মতো ।

এর নির্দিষ্ট কারণ এখনই চিহ্নিত করা না গেলেও, মনে করা হচ্ছে এ বছরের বৃষ্টির ধরনই এর মূল কারণ ৷ মূলত ঝিরঝিরি বৃষ্টিতেই বিভিন্ন জায়গায় গর্তে অথবা বিভিন্ন পাত্র বা খানাখন্দে জল জমে থেকে সেখানেই মশার লার্ভা তৈরি হয় । কিন্তু এবছর খুব একটা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়নি ৷ যখনই বৃষ্টি হয়েছে তা যথেষ্ট জোরে বলা যেতে পারে । অর্থাৎ যেখানে জল জমার কথা সেখানে জল না জমে বরং তা ধুয়ে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ কোথাও যদি আগে লার্ভা হয়েও থাকে, সেটা জোরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেই বৃষ্টির জলের তোড়ে ধুয়ে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ তাই লার্ভা থেকে মশা উৎপন্ন হওয়া বা সেই মশা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ।

কলকাতা, 1 ডিসেম্বর: কলকাতার মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় যথেষ্ট স্বস্তির । তবু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ফেরাচ্ছে আতঙ্কের পরিবেশ । কলকাতা পুরনিগমের তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর মহানগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে প্রায় 92 শতাংশ । ম্যালেরিয়া কমেছে প্রায় 42 শতাংশ । তবে একইসঙ্গে পুরনিগমের তথ্যেই উঠে এসেছে যে, নভেম্বর মাসে 3 তারিখ থেকে 24 তারিখ পর্যন্ত মাত্র 22 দিনেই শহরে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি 750। যদিও শহরে মশাবাহিত রোগে কোনও মৃত্যু হয়নি বলেই দাবি পুরনিগমের ৷

ডিসেম্বর মাস পড়ে গেলেও এখনও সেভাবে শীতের দেখা নেই । উলটে নিম্নচাপের জেরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি । আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্বাস্থ্যকর্তারা । ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া কম থাকলেও তাঁরা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন । তবে আবহাওয়া এমন খামখেয়ালি যে, তা মশার বংশ বিস্তারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অনুকূল, সেটাই বড় চিন্তার কারণ । এমন হালকা বৃষ্টিতে পড়ে থাকা পাত্র কিংবা খানাখন্দ, গাছের কুঠুরিতে জল জমে । আর সেখানেই মশা ডিম পাড়ে । লার্ভা বেড়ে মশা উৎপন্ন হয়, সেই মশাই আশপাশের মানুষজনকে কামড়ালে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া ছড়ায় । শনিবারের বৃষ্টিও সেই চিন্তাই বাড়িয়েছে ।

ETV BHARAT
মেয়র ফিরহাদ হাকিম (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা পুরনিগমের তথ্য বলছে, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কলকাতায় নভেম্বরের 3 তারিখ পর্যন্ত ছিল 5187। গত বছর এই সময়কালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 9303। এবছর 10 তারিখ পর্যন্ত সংখ্যাটা 5316 যা গত বছর একই সময়ে ছিল 9547। 17 তারিখ পর্যন্ত এই বছর 5521 জন আক্রান্ত হয়েছেন, গত বছর সেই সংখ্যা ছিল 9710। 24 তারিখ পর্যন্ত শহরে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা 5700, যা গত বছর এই তারিখ পর্যন্ত ছিল 9933 জন ।

একইভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা নভেমম্বরের 3 তারিখ পর্যন্ত ছিল 865 জন । গত বছর এই তারিখে শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 12,334 জন । 10 তারিখ পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত 936 জন, গত বছর এই সময়কালে সংখ্যাটা ছিল 13,086। 17 নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত 999 জন । গত বছর এই সময়ে সংখ্যাটা ছিল 13,563 জন । 24 নভেম্বর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 1,081 জন । যদিও গতবছর এই সংখ্যা ছিল 13,682 জন ।

কলকাতার দক্ষিণ অংশে প্রতিবারের মতো এবারেও বেশ কিছু জায়গায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে । এর মধ্যে 10 নম্বর বরো ও 12 নম্বর বরো রয়েছে । যাদবপুর, টালিগঞ্জ, কসবা, চেতনা, ভবানীপুর, রাসবিহারী, বাইপাস-সহ বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বেশি । প্রতিবারের মতো ম্যালেরিয়ার প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে কলকাতার উত্তর অংশে, 1, 4, 6, 7 নম্বর বরো অন্তর্ভুক্ত এলাকায় । অর্থাৎ কাশীপুর, বেলগাছিয়া, টালা, চিৎপুর, বাগবাজার, বড়বাজার, এমজি রোড, পাথুরিয়াঘাটা, চাঁদনী, মল্লিক বাজাজর, পার্ক সার্কাস, ধর্মতলা, কলেজ স্ট্রিট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ।

এখনও পর্যন্ত 10 নম্বর বরো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা 239 জন । 12 নম্বর বরো এলাকায় 192 জন আক্রান্ত ডেঙ্গিতে । কলকাতার বাকি বরোগুলোর তুলনায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত এই দুই বরো এলাকায় । একইভাবে, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে থাকা বরো হল 6 নম্বর বরো, যেখানে 637 জন এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ।

এই বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কলকাতায় তো সারাদেশ থেকে মানুষ আসেন চিকিৎসার জন্য । কোথা থেকে এই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া আসছে সেটা দেখতে হবে । কলকাতায় দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছি, তাই প্রতিরোধ আছে । কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রেক্ষিতে এই ডেঙ্গির বা মশার উপদ্রব একটু বাড়ছে । কলকাতায় সচেতনতা আছে বলে 92 শতাংশ কম হয়েছে এবছরে । আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এই মশার বৃদ্ধির কারণ । আচমকা নিম্নচাপ হচ্ছে এই সময়ে । বৃষ্টি হচ্ছে ৷ তার ফলে মশা বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ পাচ্ছে । আমাদের এখানকার পরিবেশ অনুকূল হচ্ছে মশার জন্য । এই কারণেই রোগ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া চলতি বছরে কম হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক স্বাগত মুখোপাধ্যায় বলেন, এ বছর সর্বত্রই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কম । কলকাতাতেও একইভাবে কমেছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ৷ তবে এই কমটা বেশ চোখে পড়ার মতো ।

এর নির্দিষ্ট কারণ এখনই চিহ্নিত করা না গেলেও, মনে করা হচ্ছে এ বছরের বৃষ্টির ধরনই এর মূল কারণ ৷ মূলত ঝিরঝিরি বৃষ্টিতেই বিভিন্ন জায়গায় গর্তে অথবা বিভিন্ন পাত্র বা খানাখন্দে জল জমে থেকে সেখানেই মশার লার্ভা তৈরি হয় । কিন্তু এবছর খুব একটা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়নি ৷ যখনই বৃষ্টি হয়েছে তা যথেষ্ট জোরে বলা যেতে পারে । অর্থাৎ যেখানে জল জমার কথা সেখানে জল না জমে বরং তা ধুয়ে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ কোথাও যদি আগে লার্ভা হয়েও থাকে, সেটা জোরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেই বৃষ্টির জলের তোড়ে ধুয়ে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ তাই লার্ভা থেকে মশা উৎপন্ন হওয়া বা সেই মশা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.