কলকাতা, 21 জানুয়ারি: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনে কলকাতা মেট্রোরেলে হয়ে গেল একপ্রস্ত 'মক ড্রিল'। মেট্রোরেল শহরবাসীর পরিবহণের লাইফলাইন। নগরকেন্দ্রিক জীবনে মেট্রো পরিষেবা ব্যতীত ভাবাই যায় না। তাই সেই গণপরিবহণ মাধ্যমকে সুরক্ষিত রাখতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ন্য়াশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজির কমান্ডোরা পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে মহড়া দেন।
নর্থ-সাউথ মেট্রো করিডোরে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল এই পার্ক স্ট্রিট স্টেশন। তাই আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসকে কেন্দ্র করে যাতে এই মেট্রো স্টেশনে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না-ঘটে তার জন্য তৎপর কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যেমন রাসায়নিক, সন্ত্রাসবাদী বা অন্যান্য আক্রমণ কিংবা হুমকি আসার মতো ঘটনাকে এড়াতেই মঙ্গলবার বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে মক ড্রিল। যাত্রীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধায় পড়তে না-হয় তাই রবিবার মাঝরাতে পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে এই মহড়া হয়।
মূলত, এনএসজি কমান্ডোরা একটি জরুরি পরিস্থিতির নাটকীয় রূপ দান করে ৷ কী করে দ্রুত সেই পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়া যায় তার মহড়া দিয়ে থাকেন। প্লাটফর্মে মেট্রো সুড়ঙ্গের ভিতরে এবং ভায়াডাক্ট (ট্র্যাকের একটি অংশ) থেকে যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের মহড়া চালানো হয়। এই মহড়ার জন্য পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে একটি পাওয়ার ব্লক নেওয়া হয় এবং একটি মেধা রেকও ব্যবহার করা হয়।
কলকাতা মেট্রো করিডোরে মাঝে মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক রাখা জন্য এই ধরনের মক ড্রিল মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে। তবে একদিকে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি অন্যদিকে, ভারতে আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবস। তাই 26 জানুয়ারি যাতে মেট্রো করিডোরে কোনওরকম প্রীতিকর ঘটনা না-ঘটে আর যদি তা ঘটে তবে তা দ্রুত সামাল দেওয়ার জন্য এনএসজি কমান্ডোদের দল হাতে কলমে মক ড্রিল চালায়। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র মেট্রোরেলেই নয় প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসের আগে সারা শহরজুড়েই এই ধরনের মহড়া চলে।