কলকাতা, 15 মার্চ: এসএসকেএম হাসরপাতালের তৈরি মেডিক্যাল বুলেটিনের জেরে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনায় লালবাজারের বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ এবার সেই এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর বা অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, "পিছন থেকে কেউ ধাক্কা দেয়নি, হোঁচট খেয়ে পড়ে যান মুখমন্ত্রী ৷" তাহলে তিনি যে গতকাল রাতে বললেন, পিছন থেকে ধাক্কা মারা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে !
গতকালের বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন এসএসকেএম ডিরেক্টর ৷ তিনি বলেন, "শারীরিকভাবে পিছন থেকে কেউ ধাক্কা দেয়নি ৷ কিছু একটা ঠেলে দেওয়ার মতো অনুভূতি হয়েছে, যার ফলে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷" অর্থাৎ, কেউ তাঁকে ধাক্কা মেরেছেন, তা নয় ৷ কিন্তু, গতকাল হাসপাতালের বিবৃতির জেরে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল ৷ বাড়ির ভিতরে যদি কেউ তাঁকে ধাক্কা দিয়ে থাকেন, তাহলে তা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুতর বিষয় ৷
সেই বিতর্কেই আজ সকালে জল ঢাললেন এসএসকেএমের অধিকর্তা ৷ উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধেয় নিজের ঘরে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান মমতা ৷ সেই সময় তিনি ঘরে একাই ছিলেন ৷ তাঁর দেখভালের জন্য যিনি রয়েছেন, তিনিই প্রথম বিষয়টি সকলকে জানান ৷ দ্রুত তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি করানো হয় ৷ তাঁর চিকিৎসার জন্য 8 সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে ৷
রাতেই এসএসকেএমের পাশে বাঙুর ইনস্টিটিউশন অফ নিউরোলজিতে ইকোকার্ডিয়োগ্রাম ও সিটি স্ক্যান করানো হয় মমতার ৷ সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট আজ সকালে এসেছে ৷ সেখানে উল্লেখ্য করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর চোট পাওয়া জায়গায় কানকনশ বা প্রচন্ড ঝাঁকুনি হয়েছে ৷ যার ফলে কেটে যাওয়া জায়গা দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয় ৷ তবে, ইন্টারনাল কোনও চোট তাঁর সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে ধরা পড়েনি ৷ তবে, কানকশনের জন্য সামান্য ঝিমুনিভাব ছিল ৷ আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে ৷ রাতে একজন সিনিয়র চিকিৎসক তাঁর বাড়িতে তত্ত্ববধানে ছিলেন ৷ রাতে মুখ্যমন্ত্রী ভালো ঘুমিয়েছেন বলেও রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: