হুগলি, 13 ডিসেম্বর: জইশ-ই-মহম্মদ যোগ সন্দেহে হুগলিতে তল্লাশি অভিযান চালাল এনআইএ ৷ শেখ সুলতান শালাউদিন আইয়ুবি-র ঘনিষ্ঠরা বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে বলে খবর ৷ সেই প্রসঙ্গেই তল্লাশি চালান ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির তদন্তকারীরা ৷
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, একাধিক রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির গোয়েন্দারা ৷ এনআইএ'র তরফে দাবি, তারা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীও উদ্ধার করেছেন তাঁরা৷
জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সালাউদ্দিনকে চলতি বছরে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ ৷ ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির দাবি, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর স্লিপার সেলের সদস্যরা ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ৷ তারা বাংলা ছাড়া অন্য জায়গাতেও আরও একবার নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠছে ৷
সম্প্রতি কলকাতার বেনিয়াপুকুরের ঘটনায় এনআইএ'র গোয়েন্দারা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন ৷ বেনিয়াপুকুর ছাড়া নিউ মার্কেট থানায় এলাকাতেও একটি হোটেলে জঙ্গিরা আত্মগোপন করেছিলেন বলে অনুমান এনআইএ-র ৷ এই সন্দেহে সেখানেও তল্লাশি অভিযান চলেছিল ৷ এবার হুগলির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালালেন এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷ এই তল্লাশিতে কী কী বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি ৷
এছাডা কিছুদিন আগে আল কায়দার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করে জেরা করা হয় ৷ ওই চার আল কায়দা জঙ্গিকে প্রথমে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ ৷ তারপর তাদের এনআইএ হেফাজতে নেয় ৷ তখন জেরায় ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সঙ্গে কলকাতা থেকে বাংলার যোগাযোগের বিষয়ে জানতে পারেন গোয়েন্দারা ৷ তারপর থেকে এনআইএ খতিয়ে দেখছে যে বাংলায় কতদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে এই জাল ৷
এনআইএ-র একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নাম - মহম্মদ সজীব মিয়া, মুন্না খালিদ আনসারি ওরফে মুন্না খান, আজহারুল ইসলাম ওরফে খালিফুদ্দিন আনসারি ওরফে আকাশ খান ও আব্দুল লতিফ ওরফে মোমিনুন আনসারি ৷ এরা সকলেই বাংলাদেশের বাসিন্দা ৷ উত্তর 24 পরগনায় সীমান্ত পেরিয়ে এরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ৷