কলকাতা, 3 মে: প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। এই বছর মাধ্যমিকের পাশের হার 86.31 শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এই বছরে সামান্য পাশের হার বেড়েছে। কিন্তু এবার ফলাফল নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, যারা খাতা দেখেছেন, তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই তো যিনি সম্প্রতি চাকরি হারিয়েছেন। সম্প্রতি প্রায় 26 হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই তালিকায় থাকা কেউ পরীক্ষার খাতা দেখেছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। বহু অভিভাবকের কথায়, "বর্তমানে যে অবস্থা তাতে দাঁড়িয়ে একটা সংশয় থেকে যাচ্ছে।"
যদিও এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয়ের তরফে শিক্ষকদের নাম পর্ষদের কাছে পাঠানো হয়। কারা খাতা দেখবেন শুধুমাত্র সেই তথ্যই পর্ষদের কাছে থাকে। বাকি তথ্য নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে থাকে।" মূলত এই খাতা দেখার নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে দু'বছর চাকরি করতে হবে শিক্ষককে। তারপরেই তিনি মাধ্যমিকের খাতা দেখার অনুমতি পান। ফলে হিসাব অনুযায়ী 2016 সালে যারা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই মাধ্যমিক খাতার দেখার কাজে অংশ নিয়েছেন অতীতে। এবার তারা সেই অযোগ্য না যোগ্য তালিকায় রয়েছে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
শুধুমাত্র মাধ্যমিক নয়, এই বিতর্ক রয়েছে উচ্চমাধ্যমিককে ঘিরেও। 8 মে প্রকাশিত হতে চলেছে এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। সেখানেও খাতা অভিযুক্ত শিক্ষকদের হাতে পড়েছে কি না, তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। এদিকে, প্রায় 26 হাজার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী চাকরি বাতিল হওয়ায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রায় 15 শতাংশ শিক্ষক কমেছে বলেই জানা গিয়েছে। তাই নিয়ে আগেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "কীভাবে স্কুল পরিচালনা হবে তা জানি না।" মাধ্যমিকের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময়ও একই কথা বললেন তিনি।
আরও পড়ুন: