জলপাইগুড়ি, 7 এপ্রিল: ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ধূপগুড়ির সভামঞ্চে ওঠার আগে বা পরে সভামঞ্চের পিছনে তৈরি ছাউনিতে নরেন্দ্র মোদি ঝড়ে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন।
গত 31 মার্চ ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়িতে ঝড়ে চারজনের মৃত্যু হয় ৷ আহত হন কয়েকশো মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর সভার শেষ মুহূর্তে কর্মসূচির কোনও বদল না-হলে রবিবার ধূপগুড়ির সভাস্থলের পিছনে ময়নাগুড়ির ঝড়ে বিধ্বস্ত দশটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনই ধূপগুড়ির ময়নাতলিতে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা চিকিৎসক জয়ন্ত কুমার রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় যোগ দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সেই সভার আগে বার্নিস গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা শুনবেন নরেন্দ্র মোদি এমনটাই সূত্রের খবর। সভামঞ্চের ওপরপ্রান্তে হেলিপ্যাডে নেমে জাতীয় সড়ক পেরিয়ে 500 মিটারের মধ্যেই সভাস্থলে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। ঝড় দুর্গতদের সাহায্যেরও কোনও আলোচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, গত 31 তারিখ ঝড়ের রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়িতে চলে আসেন ৷ এরপর চালসাতে থেকে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে নির্বাচনী প্রচারের সারেন। কোচবিহারে গত 4 তারিখ মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সভা ছিল। প্রধানমন্ত্রী ঝড়বিধ্বস্ত একটি শব্দ খরচ না-করায় প্রধানমন্ত্রীকে এক হাত নেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি বাংলার মানুষের সমস্যা হলেই ছুটে যান। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি কোচবিহারে এলেন বড় বড় কথা বললেন কিন্তু ঝড় নিয়ে কিছুই বললেন না ৷
প্রসঙ্গত, ঝড় নিয়ে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিঁধেছেন, তারপরেই ঝড়বিধ্বস্ত মানুষদের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
আরও পড়ুন: