ETV Bharat / state

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ! এক বছর পর সুবিচার চেয়ে হাইকোর্টে বাবা - Medical Student Death - MEDICAL STUDENT DEATH

Murshidabad Medical College Student Death: গত বছর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় এক ডাক্তারি পড়ুয়ার। পুলিশ আত্মহত্যা বলে দাবি করে। পড়ুয়ার বাবার অভিযোগ, এক বছর আগে মেয়ে মারা গেলেও পুলিশ এত দিনেও পরিবারের লোকের জবানবন্দী নেয়নি।

CALCUTTA HIGH COURT
কলকাতা হাইকোর্ট (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 2, 2024, 9:01 PM IST

Updated : Aug 2, 2024, 10:43 PM IST

কলকাতা, 2 অগস্ট: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এক ডাক্তারি পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুতে বিচার চেয়ে হাইকোর্টে বাবা। গত বছর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় তনুশ্রী গোস্বামীর (23)। পুলিশ আত্মহত্যা বলে দাবি করে। কিন্তু, ঘটনার পরে মৃতের পরিবার জানতে পারে, সেখানকার একজন অধ্যাপক ও কয়েকজন পড়ুয়া তনুশ্রীকে কোনও কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ব্ল্যাক মেল করছিল । দীর্ঘ মানসিক চাপে, অবসাদে তিনি ভুগছিলেন ।

পেশায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান তরুণীর বাবার অভিযোগ, এক বছর আগে মেয়ে মারা গেলেও পুলিশ এত দিনেও পরিবারের লোকের জবানবন্দী নেয়নি । এমন কি, থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের জেরা করেনি । মৃতের মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষাও করেনি । এই ঘটনায়, বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নির্দেশ, মোবাইলের কলের তালিকা পরীক্ষা করতে হবে । পরিবারের গোপন জবানবন্দী নিতে হবে পুলিশকে । 29 অগস্ট আদালতকে নতুন করে রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর তনুশ্রী সেখানেই ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করছিলেন । তারপর হটাৎ করে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় হস্টেলের ঘর থেকে । তাঁর বাড়ি বহরমপুর শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় । ঘটনার খবর পেয়ে তনুশ্রীর বাড়িতে আসে বহরমপুর থানার পুলিশ । তারপর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় ।

মৃত তনুশ্রীর বাবা কর্মসুত্রে পঞ্জাবে থাকেন। ফলে তনুশ্রীর স্কুল জীবন কেটেছে পঞ্জাবেই । সেখান থেকে মুর্শিদাবাদে সে মেডিক্যাল পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিল । ডাক্তারি পড়ার জন্য তরুণী থাকতেন তাঁর দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে । বাড়িতে কোনও অশান্তি বা তেমন কিছুই হয়নি বলেই জানান তনুশ্রীর দাদু।অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজের তরফেও জানানো হয় ইন্টার্ন হিসাবে তাঁর যে তেমন কাজের চাপ ছিল, তা-ও নয়। তাহলে কেন আত্মঘাতী হলেন তনুশ্রী ? তার উত্তর পেতেই, মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচার পেতে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতার বাবা ৷

কলকাতা, 2 অগস্ট: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এক ডাক্তারি পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুতে বিচার চেয়ে হাইকোর্টে বাবা। গত বছর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় তনুশ্রী গোস্বামীর (23)। পুলিশ আত্মহত্যা বলে দাবি করে। কিন্তু, ঘটনার পরে মৃতের পরিবার জানতে পারে, সেখানকার একজন অধ্যাপক ও কয়েকজন পড়ুয়া তনুশ্রীকে কোনও কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ব্ল্যাক মেল করছিল । দীর্ঘ মানসিক চাপে, অবসাদে তিনি ভুগছিলেন ।

পেশায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান তরুণীর বাবার অভিযোগ, এক বছর আগে মেয়ে মারা গেলেও পুলিশ এত দিনেও পরিবারের লোকের জবানবন্দী নেয়নি । এমন কি, থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের জেরা করেনি । মৃতের মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষাও করেনি । এই ঘটনায়, বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নির্দেশ, মোবাইলের কলের তালিকা পরীক্ষা করতে হবে । পরিবারের গোপন জবানবন্দী নিতে হবে পুলিশকে । 29 অগস্ট আদালতকে নতুন করে রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর তনুশ্রী সেখানেই ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করছিলেন । তারপর হটাৎ করে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় হস্টেলের ঘর থেকে । তাঁর বাড়ি বহরমপুর শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় । ঘটনার খবর পেয়ে তনুশ্রীর বাড়িতে আসে বহরমপুর থানার পুলিশ । তারপর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় ।

মৃত তনুশ্রীর বাবা কর্মসুত্রে পঞ্জাবে থাকেন। ফলে তনুশ্রীর স্কুল জীবন কেটেছে পঞ্জাবেই । সেখান থেকে মুর্শিদাবাদে সে মেডিক্যাল পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিল । ডাক্তারি পড়ার জন্য তরুণী থাকতেন তাঁর দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে । বাড়িতে কোনও অশান্তি বা তেমন কিছুই হয়নি বলেই জানান তনুশ্রীর দাদু।অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজের তরফেও জানানো হয় ইন্টার্ন হিসাবে তাঁর যে তেমন কাজের চাপ ছিল, তা-ও নয়। তাহলে কেন আত্মঘাতী হলেন তনুশ্রী ? তার উত্তর পেতেই, মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচার পেতে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতার বাবা ৷

Last Updated : Aug 2, 2024, 10:43 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.