হরিপাল, 8 ফ্রেব্রুরারি: ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা'কে কুপিয়ে 'খুন' করল ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল হরিপালের নালিকুলের সাহাপুর এলাকায়। মৃত মায়ের নাম সুমিত্রা গরাং (60)। অভিযুক্ত ছেলে নিতাই গরাংকে গ্ৰেফতার করেছে হরিপাল থানা। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ছেলে দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক রোগে আক্রান্ত। ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতের ছেলে নিতাইকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ছেলে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে দাদা গৌরাঙ্গ ভাই নিতাই ও মা তিনজন মিলে বাড়ির বিভিন্ন জায়গা ও মাচা পরিষ্কার করছিল। সঠিকভাবে সেই কাজ না-করায় মায়ের সঙ্গে বচসা শুরু হয় নিতাইয়ের। সেসময় হঠাৎই একটা ইট উপর থেকে নিতাইয়ের মাথায় পড়ে যায়। তখন অভিযুক্ত রেগে গিয়ে মায়ের দিকে কাটারি নিয়ে ছুটে যায়।
মায়ের গলায় ও মাথায় কোপ বসাতে থাকে। দাদা ধরে ফেলার আগেই মা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। তারপরই স্থানীয় মানুষজনকে ডেকে আহত মাকে নিয়ে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন সুমিত্রা দেবীকে। এরপরই ধারালো অস্ত্র ফেলে চিৎকার করতে থাকে ছোট ছেলে। স্থানীয় মানুষজন খবর দেয় হরিপাল থানায়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার করে। এরপর নিতাইকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত। যদিও কেন খুন করল, কী জন্য করল কিছুই বলতে চাইছে না সে ৷
মৃতের বড় ছেলে ও অভিযুক্ত নিতাইয়ের দাদা গৌরাঙ্গ গরাং বাড়িতেই ছিল। সে ভাইকে কাজ করতে বলে। পরিষ্কার করা নিয়েই গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানান তিনি ৷ তিনি বলেন, "বৃহস্পতিবার দুপুর 12টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। হঠাৎ মাকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে দেয় ভাই। আগে থেকেই ভাই মানসিকভাবে অসুস্থ। 12 বছর ধরে চিকিৎসা চলছে। ওষুধও খায়। কিন্তু আজকে হঠাৎ কীভাবে সে মাথা গরম করে ফেলল বুঝতে পারছি না!"
আরও পড়ুন: