কলকাতা, 23 অগস্ট: উত্তর বঙ্গোপসাগরের তৈরি হল নয়া ঘূর্ণাবর্ত । তাছাড়া এই উত্তর বঙ্গোপসাগের থাকা নিম্নচাপটি রাজ্যের দিকে আরও খানিকটা এগিয়ে এসেছে । তার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার বিকেলের দিকে আবহাওয়া দফতর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে ঘূর্ণাবর্তটি এখনও সমুদ্র থেকে 7.6 কিলোমিটার উপরে রয়েছে । আগামী 24 ঘণ্টার মধ্যে তার অবস্থানে বেশ খানিকটা পরিবর্তন হবে । সেটাও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার অন্যতম কারণ হতে চলেছে ।
সকালে হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, আপাতত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে ৷ তার সঙ্গে দোসর হতে চলেছে বজ্রপাত ৷ ভাদ্রমাসের বৃষ্টির এই ধরন জনজীবনকে বিপাকে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট ৷ দক্ষিণ বাংলাদেশ এবং তার আশপাশের অঞ্চলে ঘনীভূত নিম্নচাপ ক্ষেত্রটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরছে ৷
এই অবস্থায় নিম্নচাপ ক্ষেত্র, চক্রবৎ ঘূর্ণাবর্ত এবং সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখার কারণে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী 29 অগস্ট পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে ৷ কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হবে ৷ কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সেই বক্তব্যে বেশ খানিকটা বদল এল । হাওয়া অফিস জানাল শনি-রবি রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হবে । বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ।
তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হয়েছে ৷ উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে ৷ এমনিতেই রাজ্যে বজ্রপাতের আশঙ্কায় বারবার সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস ৷ বৃহস্পতিবার তুমুল বৃষ্টি এবং ঘন ঘন বজ্রপাতের কারণে নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগের খেলা দ্বিতীয়ার্ধে হয়নি ৷ দুর্ঘটনা এড়াতেই রেফারি এবং ম্যাচ কমিশনাররা ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় না থাকাই ভালো ৷ প্রসঙ্গত বজ্রপাতের কারণে চলতি বছরে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷