কলকাতা, 16 জুন: দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে রবিবারও ভারী বৃষ্টি-সহ উত্তরবঙ্গে সব জায়গায় বৃষ্টি জারি থাকবে। বৃষ্টির সঙ্গে জারি থাকছে দুর্ভোগ-ও, জানাল আলিপুর হাওয়া অফিস ৷ পাশাপাশি মালদা ও দুই দিনাজপুরেও চলতে থাকবে ঝড়-বৃষ্টির পরিস্থিতি । তবে এরইসঙ্গে পরিস্থিতি বদল হতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী দু-চারদিনের মধ্যে সেখানে যে বর্ষা প্রবেশ করবে, সেকথা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস ৷ তার আগে রবিবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সন্ধের দিকে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাল তারা।
দেরিতে হলেও ধীরে ধীরে বর্ষার প্রবেশ ঘটছে সমগ্র বঙ্গে। ইতিমধ্যেই প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির কারণে দুর্যোগের যে পরিস্থিতি, তা আরও কয়েকদিন চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এমনকী বর্ষার কবলে আসতে চলেছে উত্তরবঙ্গের বাকি অংশও। রাজ্যের পশ্চিমী জেলাগুলোতে অস্বস্তিকর গরম এবং তাপপ্রবাহের যে পরিস্থিতি, তা দূর করে নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন থেকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা পরিস্থিতির বিষয়ে সিলমোহর দিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস ৷ তাঁর কথায়, 18 জুন, 19 জুন এবং 20 জুন অর্থাৎ; মঙ্গলবার-বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্রই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
তিনি বলেন, "রবিবার থেকে আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের সর্বত্রই বৃষ্টি চলবে ৷ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে। এই বৃষ্টির ফলে ভূমিধস ও উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলো যেমন- পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি।" রবিবার জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 1 ডিগ্রি কমলেও গরম ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 36.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে 2.8 ডিগ্রি বেশি ৷ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 30.2 ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে 3.2 ডিগ্রি বেশি ৷ রবিবার সর্বোচ্চ তাপামাত্রা 36 ডিগ্রির আশেপাশেই থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের রবিবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।