ETV Bharat / state

বহুক্ষণ সরকারি হাসপাতালে নেই বিদ্যুৎ, ভরসা টর্চ-মোবাইল ! গরমে আরও অসুস্থ রোগীরা - Power Cut in Hospital - POWER CUT IN HOSPITAL

Power Cut in Hospital: দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ ছিল না রশিদপুরের সরকারি গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ গতকাল রাত আটটায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আজ সকালে বিদ্যুৎ ফেরে ৷ ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হাসপাতালে টর্চ ও মোবাইলও ছিল ভরসা ৷ গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন রোগীরা ৷

ETV BHARAT
হাসপাতালে নেই বিদ্যুৎ, ভরসা টর্চ-মোবাইল ! (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 2, 2024, 6:26 PM IST

Updated : Aug 2, 2024, 7:09 PM IST

বংশীহারি, 2 অগস্ট: বৃহস্পতিবার রাত্রি 8টা নাগাদ আচমকাই বিদ্যুৎ চলে যায় । গোটা হাসপাতাল ডুবে যায় অন্ধকারে । ওয়ার্ডে রোগীরা বসে, অথচ নেই বিদ্যুৎ । হাসপাতালের ভেতরের গাছের ডাল পড়ার কারণে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়, তারপরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সরকারি গ্রামীণ হাসপাতাল । অভিযোগ, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বিদ্যুৎ আসেনি । তীব্র গরমে কষ্ট আরও বাড়ে রোগীদের ।

বহুক্ষণ সরকারি হাসপাতালে নেই বিদ্যুৎ, ভরসা টর্চ-মোবাইল ! (নিজস্ব ভিডিয়ো)

একে গরমে রক্ষে নেই, লোডশেডিং দোসর ! হাসপাতালে এমনিতেই রোগীরা কাতরাচ্ছেন । তার উপর আবার বিদ্যুৎ না-থাকার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ । রশিদপুর সরকারি গ্রামীণ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ উঠল । এই ঘটনায় রোগীর আত্মীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন । তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি ।

অভিযোগ, বৃহস্পতিবারর রাত 8টা নাগাদ আচমকাই বিদ্যুৎ চলে যায় । গোটা হাসপাতালে নেমে আসে অন্ধকার । হাসপাতালের ভেতরে বিদ্যুতের তারে গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় তার ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোটা গ্রামীণ হাসপাতাল । অভিযোগ, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বিদ্যুৎ আসেনি । তীব্র গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের ৷

আজ সকালে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে তার জোড়া লাগানোর পরেই হাসপাতালে বিদ্যুৎ আসে । তবে দুই বছর আগে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রশিদপুর হাসপাতালের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে । সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং উন্নত চিকিৎসার সুবিধার্থে সুকান্ত মজুমদার জেনারেটরের ব্যবস্থা করলেও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ ।

এই বিষয়ে চিকিৎসা করতে আসা রোগীর আত্মীয় অসীম দেব শর্মা জানান, "রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ইলেকট্রিক লাইন না থাকার জন্য সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় । ভিতরে থাকা রোগীদের সব থেকে বেশি কষ্ট হয় । অতিরিক্ত গরমের জন্য তাঁদের কষ্ট বাড়ে ৷ আমরা চাই সরকারি হাসপাতালে ইলেকট্রিকের যথাযথ ব্যবস্থা করুক প্রশাসন ৷"

এই বিষয়ে মাসুদা বিবি জানান, "আমি মোল্লাপাড়া থেকে চিকিৎসা করতে এসেছি, কিন্তু এসে দেখি গ্রামীণ হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই । খুবই সমস্যার মধ্যে থাকতে হচ্ছে আমাদের । সেই জন্য বাইরে এসে বসে আছি গরম থেকে বাঁচার জন্য ।"

এই বিষয়ে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পুলক সাহা জানান, "আমি বহুবার জেলাতে বিভিন্ন মিটিংয়ে হাসপাতালের জন্য জেনারেটরের কথা বলেছি ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি । আমি আবারও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানাবও এবং খুব তাড়াতাড়ি যেন জেনারেটরের ব্যবস্থা হয় সেই বিষয়টি চেষ্টা করব ।"

বংশীহারি, 2 অগস্ট: বৃহস্পতিবার রাত্রি 8টা নাগাদ আচমকাই বিদ্যুৎ চলে যায় । গোটা হাসপাতাল ডুবে যায় অন্ধকারে । ওয়ার্ডে রোগীরা বসে, অথচ নেই বিদ্যুৎ । হাসপাতালের ভেতরের গাছের ডাল পড়ার কারণে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়, তারপরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সরকারি গ্রামীণ হাসপাতাল । অভিযোগ, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বিদ্যুৎ আসেনি । তীব্র গরমে কষ্ট আরও বাড়ে রোগীদের ।

বহুক্ষণ সরকারি হাসপাতালে নেই বিদ্যুৎ, ভরসা টর্চ-মোবাইল ! (নিজস্ব ভিডিয়ো)

একে গরমে রক্ষে নেই, লোডশেডিং দোসর ! হাসপাতালে এমনিতেই রোগীরা কাতরাচ্ছেন । তার উপর আবার বিদ্যুৎ না-থাকার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ । রশিদপুর সরকারি গ্রামীণ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ উঠল । এই ঘটনায় রোগীর আত্মীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন । তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি ।

অভিযোগ, বৃহস্পতিবারর রাত 8টা নাগাদ আচমকাই বিদ্যুৎ চলে যায় । গোটা হাসপাতালে নেমে আসে অন্ধকার । হাসপাতালের ভেতরে বিদ্যুতের তারে গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় তার ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোটা গ্রামীণ হাসপাতাল । অভিযোগ, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বিদ্যুৎ আসেনি । তীব্র গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের ৷

আজ সকালে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে তার জোড়া লাগানোর পরেই হাসপাতালে বিদ্যুৎ আসে । তবে দুই বছর আগে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রশিদপুর হাসপাতালের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে । সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং উন্নত চিকিৎসার সুবিধার্থে সুকান্ত মজুমদার জেনারেটরের ব্যবস্থা করলেও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ ।

এই বিষয়ে চিকিৎসা করতে আসা রোগীর আত্মীয় অসীম দেব শর্মা জানান, "রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ইলেকট্রিক লাইন না থাকার জন্য সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় । ভিতরে থাকা রোগীদের সব থেকে বেশি কষ্ট হয় । অতিরিক্ত গরমের জন্য তাঁদের কষ্ট বাড়ে ৷ আমরা চাই সরকারি হাসপাতালে ইলেকট্রিকের যথাযথ ব্যবস্থা করুক প্রশাসন ৷"

এই বিষয়ে মাসুদা বিবি জানান, "আমি মোল্লাপাড়া থেকে চিকিৎসা করতে এসেছি, কিন্তু এসে দেখি গ্রামীণ হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই । খুবই সমস্যার মধ্যে থাকতে হচ্ছে আমাদের । সেই জন্য বাইরে এসে বসে আছি গরম থেকে বাঁচার জন্য ।"

এই বিষয়ে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পুলক সাহা জানান, "আমি বহুবার জেলাতে বিভিন্ন মিটিংয়ে হাসপাতালের জন্য জেনারেটরের কথা বলেছি ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি । আমি আবারও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানাবও এবং খুব তাড়াতাড়ি যেন জেনারেটরের ব্যবস্থা হয় সেই বিষয়টি চেষ্টা করব ।"

Last Updated : Aug 2, 2024, 7:09 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.