কলকাতা, 2 অক্টোবর: আরজি কর-কাণ্ডে নিহত নির্যাতিতা চিকিৎসক-পড়ুয়ার নামে তর্পণ করলেন দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভায় বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্মণচন্দ্র ঘোড়ুই ৷ আজ আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে পিতৃপক্ষের অবসান ৷ আর এই দিনে পূর্বপুরুষদের জলদানের রীতি রয়েছে ৷ এই দিনটিতে দুর্গাপুর ব্যারাজে দামোদরের ঘাটে আরজি করের নিহত চিকিৎসকের আত্মার শান্তি কামনা করলেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে যাতে দ্রুত সুবিচার পান ওই চিকিৎসক, সেই প্রার্থনাও করেছেন বলে জানালেন বিজেপি বিধায়ক ৷
তিনি বলেন, "আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জন্য দেশ তথা বিশ্ববাসী ব্যথিত ৷ তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে আজ আমি তর্পণ করলাম ৷ বিগত বছরগুলিতেও পূর্বপুরুষদের তৃপ্ত করতে দামোদরে এসে তর্পণ করি। এবার ওই চিকিৎসকের আত্মার শান্তি কামনা করলাম। পাশাপাশি দেবী মায়ের কাছে দোষীদের শাস্তির দাবি জানালাম ৷"
পূর্ব বর্ধমান
মহালয়ার সকালে গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ৷ বুধবার সকালে তিনি ধাত্রীগ্রামে গঙ্গার মালতিপুর ঘাটে তর্পণ করতে যান ৷ এ দিন ঘাটে তর্পণ করতে আসা সাধারণ মানুষকে তিনি দেবীপক্ষের সূচনায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ৷ তবে, ডিভিসি জল ছাড়ায় দামোদরের জলস্তর বেড়েছে ৷ তাই তর্পণের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের তরফে ৷
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, "আজ মহালয়া ৷ পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ধাত্রীগ্রামের মালতিপুরের গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করতে আসেন ৷ আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখানে তর্পণ করতে আসা মানুষদের শুভেচ্ছা জানাই ৷ পাশাপাশি মানুষকে গঙ্গার জলে নামা নিয়ে সতর্ক করছি ৷ কড়া পুলিশি প্রহরা রয়েছে ৷ যাতে কোথাও কোনও দুর্ঘটনা না-ঘটে, সেইজন্য পুলিশ চারিদিকে টহল দিচ্ছে ৷"
হাওড়া
আজ পিতৃ তর্পণের ভিড় ছিল হাওড়া জেলা কুড়িটি ঘাটে ৷ তর্পণের জন্য প্রতিটি ঘাটে হাজার-হাজার মানুষের ভিড় ছিল ৷ ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল, উচ্চস্তরের ৷ হুগলি নদীতে স্পিড বোট নামিয়ে পুলিশের তরফে নজরদারি চালানো হয় ৷ সেই সঙ্গে আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে চলে নজরদারি ৷ পুরুষদের পাশাপাশি, এবার মহিলাদের ভিড় ছিল নজরকাড়া ৷ হাওড়ার অধিকাংশ ঘাটে মহিলাদের দেখা গেল পিতৃপুরুষের নামে তর্পণ করতে ৷
এ দিন হাওড়ার ঘাটে তর্পণ করতে আসেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ৷ ফলে হাওড়া কমিশনারেটের তরফে ঘাটগুলিতে পুলিশি প্রহরা ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠীকে এ দিন ভোর থেকে হাওড়ার ঘাটে দেখা গেল ৷ তিনি নিজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ৷
দক্ষিণ 24 পরগনা
বুধবার কাকভোরে গঙ্গাসাগরে পিতৃ তর্পণের জন্য আসেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ৷ মহালয়া উপলক্ষ্যে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান করলেন তিনি ৷ অনেক পুণ্যার্থী এ দিন সাগরে এসেছেন ৷ তাঁদের সবার নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের তরফে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা ছিল ৷ অমাবস্যা থাকায়, গঙ্গাসাগরে জলস্ফীতি ছিল ৷ ফলে গভীর জলে পুণ্যার্থীদের যেতে দেওয়া হয়নি ৷ পুণ্যস্নানের পর বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তিনি বলেন, "দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষ গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দিরে এসেছেন ৷ যাঁরা পুণ্যস্নান ও পিতৃ তর্পণ করতে হাজির হয়েছেন, তাঁদেরকে মহালয়ার পুণ্যলগ্নে সকলকেই শুভেচ্ছা জানাই ৷