মালদা, 14 অক্টোবর: বিসর্জন দেখে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হলেন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ! রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার একটি গ্রামে ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরী এখন মালদা মেডিক্যালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ৷
এই ঘটনায় ছ’জনের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতার বাবা ৷ ইতিমধ্যে এক অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে গোটা এলাকায় রয়েছে টানটান উত্তেজনা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গ্রামে টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷
ধর্ষিতা কিশোরীর বয়স 16 বছর ৷ বাবা চায়ের দোকানদার ৷ বাড়ির অদূরেই তাঁর দোকান ৷ মেয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ৷ রবিবার গ্রামের দুর্গাপ্রতিমার নিরঞ্জন ছিল ৷ নিরঞ্জন পর্ব দেখার পর রাত সাড়ে 10টা নাগাদ ওই কিশোরী বাড়ি ফিরছিল ৷ সেই সময় এলাকারই 6-7 জন দুষ্কৃতী মদ্যপ অবস্থায় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পিছনেই একটি নির্জন জায়গায় তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷
এদিকে, রাত হয়ে গেলেও মেয়ে ঘরে না-ফেরায় বাড়ির লোকজন তার খোঁজ শুরু করেন ৷ খোঁজাখুঁজি চালান গ্রামবাসীরাও ৷ শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয় ৷ তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ রাতেই তাকে মালদা মেডিক্যালে রেফার করে দেওয়া হয় ৷ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে নির্যাতিতা কিশোরীর পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগজনক ৷
বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা কিশোরীর বাবার দোকানে মাঝেমধ্যেই চা খেতে যেত ৷ সেই থেকেই তারা নির্যাতিতার বাবার পূর্ব পরিচিত ৷ গতকাল রাতে তারা প্রত্যেকেই মদ্যপান করে ছিল ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই নির্যাতিতা কিশোরীকে নিশানা করেছিল অভিযুক্তরা ৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে সুযোগ পেয়ে তারা কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে সংকটজনক অবস্থায় মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা ৷ এখনই তাকে কিছু জিজ্ঞেস করা সম্ভব নয় ৷ গ্রামবাসীদের রোষের শিকার এক যুবককে আটক করা হয়েছে ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৷”