দার্জিলিং, 11 সেপ্টেম্বর: স্বাস্থ্য দফতরে উত্তরবঙ্গ লবির প্রভাব ও আতঙ্ক নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক চিকিৎসক অরুণাভ ঘোষ । তাঁর অভিযোগ, আরজি কর হিমশৈলের চূড়া মাত্র । তার থেকে বেশি দুর্নীতি হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷
বুধবার থ্রেট কালচারের অভিযোগে কলেজের পাঁচ বহিস্কৃত পড়ুয়ার বিষয়ে বৈঠকে বসে কলেজ কাউন্সিল । আর তার মাঝেই অভীক দে, সুশান্ত রায়-সহ উত্তরবঙ্গ লবির চিকিৎসকদের প্রভাব নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অরুণাভ ঘোষ । তাঁর অভিযোগ, এখনও উত্তরবঙ্গ লবির এতটাই প্রভাব যে, বাধ্য হয়ে মাঝরাতে বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের নিয়ে কাউন্সিলকে বৈঠকে বসতে বাধ্য করা হয় এবং সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করাতে বাধ্য করা হয় ।
এদিন অধ্যাপক চিকিৎসক অরুণাভ ঘোষ বলেন, "হাসপাতাল ও কলেজে চূড়ান্ত রকমের অরাজকতা চলেছে । সবকিছু নিয়ে প্রচণ্ড রকমের দুর্নীতি হয়েছে । আমি একবার অভিযোগ করতে গিয়েছিলাম, কোনও লাভ হয়নি । উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে আতঙ্ক, হুমকি আর ভয় এতটাই যে, আরজি কর অনেক ছোট । একটা বিশাল বড় ষড়যন্ত্র চলছে ।"
উল্লেখ্য, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত পাঁচ ডাক্তারি পড়ুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সাময়িকভাবে পিছু হটেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের চাপে পড়ে একপ্রকার নজিরবিহীনভাবে গতকাল গভীর রাতে কলেজ কাউন্সিল বৈঠক করে ওই পাঁচ পড়ুয়ার বহিষ্কার সাময়িকভাবে তুলতে বাধ্য হয় ৷
এ প্রসঙ্গেই উত্তরবঙ্গ লবির প্রভাবের কথা তুলে ধরেছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ৷ তিনি বলেন, "লবির এতটাই চাপ যে, কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত রাত দেড়টায় পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন অধ্যক্ষ । কীভাবে এটা আটকানো হবে ?" তাঁর আরও অভিযোগ, "এখানে ফেল করলে রিভিউ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করানো হচ্ছে । উত্তরবঙ্গ লবি করলে যেখানে খুশি পোস্টিং নাও, যেখানে খুশি থাকো, কেউ কিছু বলবে না । অভীক বা তাঁদের চামচা ফোন করে যা বলতেন তাই করা হত । আমরা আর টুকলির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দেব না ।"