ETV Bharat / state

পুজোয় সম্প্রীতির বার্তা, 200 মহিলা-শিশুকে নতুন জামাকাপড় দিলেন মহম্মদ ওয়ারিশরা - Durga Puja 2024

'মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান' ৷ ঈদের পাশাপাশি পুজোতেও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের নতুন জামাকাপড় দিতে চলেছেন বদরতলা শান্তি কমিটির সদস্য মহম্মদ ওয়ারিশরা ৷

Durga Puja 2024
মহিলা ও শিশুদের বস্ত্র বিতরণ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 6, 2024, 2:16 PM IST

কলকাতা, 6 অক্টোবর: উৎসবের আবহে গোটা শহর । তবে ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক অভাবের কারণে সেই উৎসবে গা ভাসাতে পারেন না অনেকেই । গার্ডেনরিচ সংলগ্ন নাদিয়াল থানার বদরতলা এলাকায় তেমনই প্রায় 200 মহিলা ও শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে প্রস্তুত মহম্মদ ওয়ারিশরা । তাঁদের হাতে তাঁরা তুলে দিচ্ছেন নতুন জামাকাপড় ৷ এর মাধ্যমে মূলত পুজোর মরশুমে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান তাঁরা ।

শারদোৎসবের আলোয় মুড়েছে মহানগর । কিন্তু সেই আলো পৌঁছয়নি বহু প্রান্তিক মানুষের ঘরে । বদরতলায় রয়েছে তেমনই প্রায় 200টি পরিবার ৷ যাদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয় ৷ তাই হয়তো পুজোয় তাঁদের নতুন জামাকাপড়ও কেনা হয় না ৷ তাঁদের মধ্যে 100 মহিলাকে দেওয়া হচ্ছে শাড়ি । 100 শিশুকে নতুন জামা । আর এই নতুন পোশাক দেওয়া হচ্ছে বদরতলা শান্তি কমিটির তরফে ।

Durga Puja 2024
দুর্গাপুজোয় সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে বদরতলা শান্তি কমিটি (নিজস্ব ছবি)

দীর্ঘদিন ধরেই দুর্গাপুজোর উৎসব হোক বা ঈদ, ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সকলে মিলে অন্যান্য এলাকার মতো খুশিতে মাতেন বদরতলার বাসিন্দারাও । তবে 2020 সালে কিছু কারণে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল । তবে ফের একে অপরের সঙ্গে বন্ধন অটুট করতে নাদিয়াল থানার উদ্যোগে একটি কমিটি গঠন করা হয় ।

ওই কমিটির নাম শান্তি ৷ তাতে আছেন হিন্দু ও মুসলিম প্রতিনিধিরা । যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ ওয়ারিশ ও রুদ্রেন্দ্র পাল । 2020 সালের ঘটনার পর থেকেই সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে এই কমিটির তরফে খুশির ঈদে যেমন মুসলমান ধর্মাবলম্বী মানুষজনকে জামাকাপড় দেওয়া হয়, একইভাবে হিন্দু মানুষজনকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে দেওয়া হয় নতুন জামাকাপড় ৷

Durga Puja 2024
200 মহিলা ও শিশুকে নতুন জামাকাপড় দিচ্ছে তারা (নিজস্ব ছবি)

কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ ওয়ারিশ বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্ত এলাকায় আমরা সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গেই বসবাস করি । এক সঙ্গেই ওঠাবসা আমাদের । তবে 2020 সালের ঘটনায় সেই পরিবেশে খানিক বিঘ্ন ঘটেছিল । তারপর আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি আরও দৃঢ় করতে আমার দুই সম্প্রদায়ের উৎসবেই এই কর্মসূচি নিয়ে থাকি । শুধু তাই নয়, এলাকায় কেউ যাতে উত্তেজনা ছড়াতে না পারে সেদিকে নজর রেখে ঈদের নামাজে যেমন হিন্দু ভাইরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাহারা দেয়, তেমন দুর্গাপুজোয় মুসলিম মানুষজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাহারা দেন । একে অপরের উৎসবের দিনে মুখে হাসি ফোটাতে পারলে আমাদেরও ভালো লাগে ।"

কলকাতা, 6 অক্টোবর: উৎসবের আবহে গোটা শহর । তবে ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক অভাবের কারণে সেই উৎসবে গা ভাসাতে পারেন না অনেকেই । গার্ডেনরিচ সংলগ্ন নাদিয়াল থানার বদরতলা এলাকায় তেমনই প্রায় 200 মহিলা ও শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে প্রস্তুত মহম্মদ ওয়ারিশরা । তাঁদের হাতে তাঁরা তুলে দিচ্ছেন নতুন জামাকাপড় ৷ এর মাধ্যমে মূলত পুজোর মরশুমে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান তাঁরা ।

শারদোৎসবের আলোয় মুড়েছে মহানগর । কিন্তু সেই আলো পৌঁছয়নি বহু প্রান্তিক মানুষের ঘরে । বদরতলায় রয়েছে তেমনই প্রায় 200টি পরিবার ৷ যাদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয় ৷ তাই হয়তো পুজোয় তাঁদের নতুন জামাকাপড়ও কেনা হয় না ৷ তাঁদের মধ্যে 100 মহিলাকে দেওয়া হচ্ছে শাড়ি । 100 শিশুকে নতুন জামা । আর এই নতুন পোশাক দেওয়া হচ্ছে বদরতলা শান্তি কমিটির তরফে ।

Durga Puja 2024
দুর্গাপুজোয় সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে বদরতলা শান্তি কমিটি (নিজস্ব ছবি)

দীর্ঘদিন ধরেই দুর্গাপুজোর উৎসব হোক বা ঈদ, ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সকলে মিলে অন্যান্য এলাকার মতো খুশিতে মাতেন বদরতলার বাসিন্দারাও । তবে 2020 সালে কিছু কারণে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল । তবে ফের একে অপরের সঙ্গে বন্ধন অটুট করতে নাদিয়াল থানার উদ্যোগে একটি কমিটি গঠন করা হয় ।

ওই কমিটির নাম শান্তি ৷ তাতে আছেন হিন্দু ও মুসলিম প্রতিনিধিরা । যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ ওয়ারিশ ও রুদ্রেন্দ্র পাল । 2020 সালের ঘটনার পর থেকেই সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে এই কমিটির তরফে খুশির ঈদে যেমন মুসলমান ধর্মাবলম্বী মানুষজনকে জামাকাপড় দেওয়া হয়, একইভাবে হিন্দু মানুষজনকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে দেওয়া হয় নতুন জামাকাপড় ৷

Durga Puja 2024
200 মহিলা ও শিশুকে নতুন জামাকাপড় দিচ্ছে তারা (নিজস্ব ছবি)

কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ ওয়ারিশ বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্ত এলাকায় আমরা সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গেই বসবাস করি । এক সঙ্গেই ওঠাবসা আমাদের । তবে 2020 সালের ঘটনায় সেই পরিবেশে খানিক বিঘ্ন ঘটেছিল । তারপর আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি আরও দৃঢ় করতে আমার দুই সম্প্রদায়ের উৎসবেই এই কর্মসূচি নিয়ে থাকি । শুধু তাই নয়, এলাকায় কেউ যাতে উত্তেজনা ছড়াতে না পারে সেদিকে নজর রেখে ঈদের নামাজে যেমন হিন্দু ভাইরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাহারা দেয়, তেমন দুর্গাপুজোয় মুসলিম মানুষজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাহারা দেন । একে অপরের উৎসবের দিনে মুখে হাসি ফোটাতে পারলে আমাদেরও ভালো লাগে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.